ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

মুক্তমত

আবার একটা রোহিঙ্গা সংকট দেখা দিলে!

সৈয়দ ইফতেখার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
আবার একটা রোহিঙ্গা সংকট দেখা দিলে! সৈয়দ ইফতেখার

এখনো ভোর হয় রাখাইনে। ওঠে নতুন সূর্য।

আঁধার কেটে যায়। কিন্তু যে আঁধার মিয়ানমার সেনাবাহিনী ২০১৭ সালের আগস্টে নামিয়েছে, তা কি কেটেছে আদৌ? সূর্যের কিরণও এখানে বিজিত। চারদিক আলোকিত করতে পারলেও গ্রামের পর গ্রাম যেখানে জ্বলেছে, মানুষের ভিটে মাটি ছাই হয়েছে, সে ছাইয়ের ধূসর রঙকে সূর্য রাঙাতে পারে না! প্রকৃতির কী দোষ! শাসকশ্রেণিই যেখানে অমানিশা নামিয়েছে, সেখানে প্রকৃতি বড়ই অসহায়। জগতে দানবের থেকে প্রকৃতির শক্তি আর কতই বা!

আজও গ্রাম জ্বলে রাখাইনে। মৃত্যু হয় তাজা প্রাণের। স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। নেপথ্যে সেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সম্প্রতি রাখাইন রাজ্যের কিউকতাউ শহর এলাকার ইয়াঙ্গুন-সিত্তওয়ে সড়কের পাশে অবস্থিত গ্রামে আগুন দেখার খবর গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। সেখানকার ফায়ার পাউং ও তাউং পাউক গ্রামে কমপক্ষে ২০০ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে ফায়ার পাউং গ্রামে মেলে গুলিবিদ্ধ মরদেহ।

গণমাধ্যমে যা আসে, তার চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি সেখানে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অভিযান প্রায়শই চলে। যে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা এখনও রয়ে গেছেন রাখাইনে তাদের যেন কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছে না অং সান সু চি প্রশাসন। তাই তো ‘সন্ত্রাসী’ তকমা দিয়ে বাস্তুচ্যুত করতে কার্পণ্য নেই প্রশাসনের। যতভাবে নিপীড়ন চালানো যায়- তার সবটুকু আজও রাজি। তবে এবার সব হচ্ছে গোপনে-কৌশলে। এমনকি এখন বৌদ্ধ রাখাইনদেরও কোনো কোনো ক্ষেত্রে টার্গেট করছে মিয়ানমার। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাহীন দেশটিতে রাখাইন রাজ্য যেন একটা নরক। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় নরক বানানোর এই খেলা কিছুতেই থামাচ্ছে না মিয়ানমার। এর মাধ্যমে তারা প্রত্যাবাসন বন্ধ করতে চায়। পাশাপাশি রয়েছে অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিলও।

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসার ধোঁয়া তুলে মিয়ানমার যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে। ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ রাখাইনে গড়ে উঠেছে’, এমন দাবির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রটি কোনো সময়ই শক্ত প্রমাণ দিতে সক্ষম হয়নি। বরং অন্য রাজ্যে আরও বেশি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বিদ্যমান। দীর্ঘদিন অধিকার বঞ্চনার শিকার রোহিঙ্গারা, লাঞ্ছনা ভর্ৎসনা তাদের নিত্য সঙ্গী, সেইসব কথা যারা তুলে ধরেছেন, তাদের বেছে বেছে অনেক আগে থেকেই হত্যা করেছে মিয়ানমার সেনারা। আন্তর্জাতিকভাবে বিষয়টি যেন প্রকাশ না পায় সেজন্য আরসার ওপর দায় চাপিয়ে জাতিগত নিধনে মেতে ওঠে সরকার ও তাদের বাহিনী। পরিণতি প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো। তাদের পাঠিয়ে এখনো ক্ষান্ত নয় দেশটি। মানবাধিকারের তোয়াক্কা দেশটি আগেও করেনি। করছে না এখনো। মূলত আন্তর্জাতিক রাজনীতির খেলা চলছে রাখাইনে। লোভ-লালসার অনলে, পুড়ছে মানবতা।

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান নিয়ে কতশত আলোচনা। মিয়ানমারের সমালোচনা। আবার ভেতরে ভেতরে দেশটির বন্দনা করার লোকেরও অভাব নেই! আন্তর্জাতিক রাজনীতির মতো পক্ষ-বিপক্ষের অবস্থান এই ইস্যুতেও স্পষ্ট। অথচ কালোকে কালো বলার কথা ছিল। কিন্তু গণহত্যাকে সবাই গণহত্যা বলছে না। প্রত্যাবানকেও সবাই জরুরি মনে করছে না। কক্সবাজারে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ এই সংকটের অন্যতম শরিক। প্রধান ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। রোহিঙ্গারা যেমন ক্ষতির শিকার নানা রাজনীতির মারপ্যাঁচে, তেমনি বাংলাদেশ মানবতা দেখিয়ে আজ বিপাকে বটে! রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যতই দেরি হচ্ছে, ততই সংকট হচ্ছে আরও ঘনীভূত। মিয়ানমার আসলে চায় না- বাংলাদেশ থেকে ফিরে যাক একজন রোহিঙ্গাও। ঠিক তাই হচ্ছে। মিয়ানমার চায় না, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে, এখনও অবশিষ্টদের দেওয়া হয়নি পরিচয়। তাই তো আসন্ন নির্বাচনেও রোহিঙ্গা কোনো প্রতিনিধি ভোটে লড়তে পারছেন না। এমন অধিকার লঙ্ঘনে খুশি মিয়ানমারের অন্য জাতির জনগণও! তাই তো রক্তে হাত রঞ্জিত হলেও দেশের ভেতরে সু চি’র দলের জনপ্রিয়তা একটুকুও কমেনি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেড়েছে।

জাতিসংঘ নতুন করে এ বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ ফিরে আসেনি- সে কথাও বলেছে সংস্থাটি। এমনকি নির্বাচনে যেন রোহিঙ্গা প্রার্থী অংশগ্রহণের সুযোগ পায় সে আর্জিও এসেছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! চুক্তির পরও যেখানে মিয়ানমার দিনের পর দিন বাংলাদেশকে অঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে আসছে, সেখানে আন্তর্জাতিক চাপ এখন এয়ার কন্ডিশন রুমের বিলাসিতা মাত্র।

এখন পর্যন্ত মিয়ানমার যা চাচ্ছে তাই হচ্ছে। এর পেছেন বড় শক্তি চীন। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চান, পুরো বিশ্বে রাজ করতে। তার প্রথম চিন্তা এশিয়া। আরও ভেঙে বললে দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়া। তিব্বতের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, কাশ্মীর ও হিমালয় অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ (লাদাখসহ), নেপাল, ভুটানের ওপর আধিপত্য, ভারত শাসিত অরুণাচল দখল, হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগরের নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বঙ্গপোসাগরের নিয়ন্ত্রণও এখন নিজের হাতের মুঠোয় চায় বেইজিং। ওদিকে হাম্বানটোটা বন্দর শ্রীলঙ্কা ৯৯ বছরের জন্য চীনকে লিজ দিয়েছে আগেই। তাই চীনের সেনারা সেখানে কয়েক বছর ধরেই কাজ করছে। মিয়ানমারকে সবরকম সহায়তা দিয়ে আসছে চীন। বিশেষ করে পুতুল সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে সু চিকে ক্ষমতায় রাখা আর সেনাবাহিনী দিয়ে দেশ চালানো তাদের কৌশল। বিনিময়ে অঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ আরও পোক্ত করাই লক্ষ্য। বাস্তবে চীনের সেনারা বঙ্গোপসাগর ঘিরে ফেলতে চায়, সেটা পানির নিচে ও ডাঙায়।

রাখাইনে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও চীন থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত রেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলাসহ কয়েকশ’ কোটি ডলার প্রকল্পের চুক্তি রয়েছে চীন-মিয়ানমারের মধ্যে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার চললেও চীন তার চুক্তি থেকে এক চুলও সরেনি। চীন নিজ দেশেই মুসলিম সংখ্যালঘু উইগুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে। তাই তাদের কাছে গণহত্যা কোনো প্রসঙ্গই না। মিয়ানমারের মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া তাদের কাছ থেকে আশা করা যায় না।

তাছাড়া ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার কারণে মিয়ানমারে বড় আকারের বিনিয়োগের তাগিদ অনুভব করেছে চীন। যার ক্ষেত্র কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাখাইন। যা ঠিক কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর ওপারে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতাধর স্থায়ী সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা চীনের দায়িত্ব। কিন্তু মিয়ানমার ইস্যুতে তাদের অবস্থানে প্রমাণিত হলো চীন তাদের ক্ষুদ্র জাতীয় স্বার্থকেই দিচ্ছে প্রাধান্য।

সম্প্রতি মিয়ানমারের যে চার সেনা সদস্য গণহত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, তার জেরে দেশটি বাংলাদেশ সীমান্তে এক প্রকার রাউন্ড দিয়ে বুঝিয়ে দিলো, খাসলত বদলায়নি তাদের। কৌশলে মাছ ধরার ট্রলারের ছদ্মবেশে এমনটা করেছে তারা। এর পেছনেও রয়েছে চীনের মদদ। সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে ঢাকায় বার্মিজ রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু তা খুব একটা মিয়ানমার আমলে নেবে না। এর আগেও দেশটি কিছুই আমলে নেয়নি। কারণ বেইজিংকে পাশে নিয়ে যথেচ্ছাচারী নেপিদ।

একই ধরনের সন্দেহজনক আচরণ ২০১৭ সালের আগস্টের আগেও করে মিয়ানমারের সেনারা। তারপরই রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা চলে। আর এখনও ওই হামলাই চালানো হচ্ছে। তাই আবার একটা রোহিঙ্গা সংকট দেখা দিলে এর পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে- তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি এ নিয়ে ভাবতে হবে আরও গভীরভাবে। কারণ ইতোপূর্বের গণহত্যা ঠেকাতে জাতিসংঘ ব্যর্থ। ফের কিছু ঘটলে সংস্থাটি যে কিছুই করতে পারবে না, তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। যা করতে হবে এবার নিজস্ব কূটনীতি দিয়েই।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনকে পাশে পাচ্ছি না আমরা। সম্প্রতি চীনের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার অভিযোগ তুলে বক্তব্য দিয়েছেন আমেরিকান এক কূটনীতিক। তার ভাষায় বলতে গেলে, মিয়ানমার চালাচ্ছেই চীন। তাই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে চীন পিচ্ছিল শিং মাছের ভূমিকায়ই থাকবে- তা মেনেই কাজ করতে হবে।

আদতে চীন না চাইলে এই সংকটের সমাধান অসম্ভব প্রায়- এ কথাটাও সত্য। তাই বাংলাদেশের সামনে উভয় সংকট। ভারত-চীন দ্বন্দ্ব পরিস্থিতিকে আরও সহজ করতে পারতো কিন্তু বাস্তবে হয়নি তা। চীন এখনও দাবার চাল দিচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে দরকষাকষির জায়গা যা আছে, তা করছে। আমাদেরও উচিত দরকষাকষিতে রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান খোঁজা। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উত্তেজনাও সংকটে দরকষাকষিতে বাংলাদেশকে সুযোগ দিতে পারে। বাংলাদেশ বাণিজ্য বাড়াতে পারে এ ক্ষেত্রে। এছাড়া এতোদিন আরেক পরাশক্তি ভারতকে পুরোপুরি না পেলেও এখন আমরা পাব বলে আশা রাখি। এ জন্য নতুন করে আলোচনা জোরদার করা উচিত। কারণ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান অশু না হলে, এই অঞ্চলে তা ক্ষতির কারণ হবে। জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে। এতে বাংলাদেশ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ঠিক ভারতও হবে ক্ষতির শিকার। খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এ বিষয়টি বলেছেন। তাই নয়াদিল্লিকে পাশে চাই ঢাকার।

অন্যদিকে চীনের মিত্র রাশিয়ার সহযোগিতা মিলবে না- তা ধরে নিতে হবে ঠিকই। কিন্তু সে চেষ্টাও বিকল্প চ্যানেলে করে যাওয়া উচিত। ভারত-চীন উত্তেজনা প্রশমনে মস্কো একটা বড় শক্তি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনেও যেন তারা একইভাবে হাত মেলায় তা নিশ্চিত করতে হবে। চীন বাদে অন্য পরাশক্তিগুলো এখন এই ইস্যুতে জড়িত হয়ে পড়েছে। তাই সরাসরি চীনের সঙ্গে আলাপ কিংবা অন্যদের সহায়তা নেওয়া, রয়েছে দুটি সুযোগই।

তুরস্ককেও আমরা এই সংকট সমাধানে পাশে রাখছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। এই সংকট সমাধানে দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব বিষয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়া এরদোয়ান ঢাকা সফরের ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। আগামী বছরের গোড়ায় ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান এরদোয়ান আসছেন।

আমাদের উচিত রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করে যাওয়া। করোনা ভাইরাসের মহামারির সময় যা আমরা করিনি। তাই পিছিয়েছি অনেকখানি। এখনও সুযোগ আছে, বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা ভার্চ্যুয়ালি সেমিনারে অংশ নিতে পারেন। সংকট নিয়ে জারি রাখতে হবে আলোচনা। আমরা থেকে থেকে নীরব হয়ে যাই। আর সুযোগ নেয় মিয়ানমার। এই সুযোগ নেওয়া বন্ধ করতে আগ বাড়িয়ে আমরাই যেন মঞ্চ উষ্ণ রাখি, তা নিশ্চিত করা জরুরি। রোহিঙ্গা সংকট ঘোলা হচ্ছে দিন দিন, আর এ পানিতে মাছ শিকার করছে আন্তর্জাতিক একটি মহল। এটি কৌশলে প্রতিহত করতে না পারলে, প্রত্যাবাসন আর কখনোই হবে বলে মনে হয় না।

সৈয়দ ইফতেখার: লেখক, সাংবাদিক।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।