ঢাকা: বিদ্যৎ কেন্দ্র প্রয়োজন তবে সুন্দরবন রক্ষা করা আরো বেশি প্রয়োজন। কেননা, সুন্দরবন ধ্বংস হলে তা আর গড়া যাবে না।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ সব কথা বলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর।
তিনি আরও বলেন, কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য এখন পৃথিবীর কোনো দেশের পরিবেশ অধিদফতর ছাড়পত্র দেয় না। এমনকি ভারতেও এমন প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। তা হলে এদেশে করা হচ্ছে কার স্বার্থে।
তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র যেমন আমরা চাই, তেমনি সুন্দরবনও আমরা চাই। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র যদি করতেই হয়, অন্য জায়গায় করুন। আর কি জায়গা নেই? সুন্দরবন ধ্বংস করেই কেন করতে হবে?
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর হবে না ভারতের হাইকমিশনারের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘যদি তাই হয়, তবে ভারতেই এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করুন। তারপর বিদ্যুতের যে দাম হবে, আমরা তার থেকে ১০ পয়সা বেশি দাম দিয়ে বিদ্যুৎ কিনে নেব।
এ সময় রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের দাবি জানান তিনি।
সিপিবির ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদির বলেন, অবিলম্বে রামপাল চুক্তি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
দলটির ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাজেদুল হক রুবেল বলেন, সরকার যখন জনগণকে প্রয়োজন মনে করে না, তখনই এ ধরণের কাজ হয়। গত ১২ জুন ভারতের সঙ্গে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের চুক্তি করে ফেলল সরকার! অথচ জনগণ এ প্রকল্প চায় না। কাজেই এ চুক্তি বাতিল করতে হবে।
সিপিবি ঢাকা মহানগর কমিটি আয়োজিত এ সমাবেশে দলটির অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে তা পল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৬
ইইউডি/জিসিপি/আরআই