মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে সদ্য প্রয়াত প্রবীন শ্রমিক নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি কমরেড হাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার প্রথম জানাজা শেষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, হাফিজুর রহমান নির্যাতন, দমন-পীড়ন, হুমকিতে কোনো কিছুতেই শ্রমিকদের দাবি আদায় থেকে বিচ্যুত হননি।
সকাল ১০টায় হাফিজুর রহমানের মরদেহ খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে আনা হয়। কেন্দ্রীয় ওয়ার্কার্স পার্টি ছাড়াও এখানে বিভিন্ন জেলা ও মহানগর ১৪ দল, আওয়ামী লীগ, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র, সিপিবি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, ন্যাপ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি, নাগরিক ফোরাম, কৃষক লীগ, ছাত্রমৈত্রী, যুবমৈত্রী, জাতীয় কৃষক সমিতি, নারী মুক্তি সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন, পেশাজীবী সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা শেষ শ্রদ্ধা জানান।
আরও উপস্থিত ছিলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, অ্যাডভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, অ্যাডভোকেট টিপু সুলতান এমপি, ইয়াসিন আলী এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা দীপংঙ্কর সাহা দিপু, মনোজ সাহা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পার্টির খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিনা মিজানুর রহমান।
পরে হাফিজুর রহমানের মরদেহ তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল প্লাটিনাম জুবলী জুট মিল মাঠে নেওয়া হয়। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দৌলতপুর শহীদ মিনার, ইর্স্টাণ জুট মিলস শ্রমিক ময়দান ও পরে ফুলতলা নিয়ে যাওয়া হয়। ফুলতলার ডেবুর মাঠে মরহুমের শেষ জানাজা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে উপজেলা সরকারি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
১২ ফেব্রুয়ারি (রোববার) দুপুর পৌনে ৩টায় কমরেড হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা, দুই পুত্র, পুত্রবধূ, জামাতা ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬
এমআরএম/জিপি/আরআই