সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নির্মল সেন মিলনায়তনে মঙ্গলবাবের হরতাল প্রসঙ্গে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজিত হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদে।
সরকার পকেটমারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে মন্তব্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনে সঙ্কট বৃদ্ধি পাবে। পরিবহন, কৃষি উৎপাদন ও শিল্পোৎপাদন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে জনগণের জীবনে এমনিতেই নাভিশ্বাস দশা, লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি কম আয়ের মানুষকে দুর্দশাগ্রস্ত করবে।
অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে যে লুণ্ঠনের রাজত্ব কায়েম করেছে, তার তহবিল জোগাতেই এই মূল্যবৃদ্ধি। বাংলাদেশের জনগণ এই দাম বৃদ্ধি মেনে নেবে না।
অন্যান্য নেতারা বলেন, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি পেলেও পেলেও বেশির শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের আয় বৃদ্ধি পায়নি, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন এখনও ৫ হাজার ৩শ টাকা। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে খেটে খাওয়া মানুষদের ঘরভাড়া বেড়ে যাবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বড় শহরগুলোতে বেশিরভাগ শ্রমজীবী মানুষই এই দুরবস্থার মধ্যে পড়বেন। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের সক্ষমতা কমে যাবে, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে এবং সব মিলিয়ে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিই একটি বিরাট চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে।
গণতান্ত্রিক শক্তিকে সাথে নিয়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির চক্রান্ত প্রতিহত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মঙ্গলবারের (২৮ ফেব্রুয়ারি) আধাবেলা হরতাল সফল করতে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
পিআর/এমজেএফ/