বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা এই হুঁশিয়ারি দেন।
১৫ মার্চ (বুধবার) গ্যাসের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলো বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল ও গণতান্ত্রিক বামমোর্চা।
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। ফলে আমাদের আন্দোলন অব্যহত রয়েছে। যদি এবার বিদ্যুতের দাম বাড়নো হয়, তবে রাজধানীসহ সারাদেশে হরতালে ডাক দেওয়া হবে। আমরা জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করি। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হরতালে আমাদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। আমাদের অনেক কর্মীকে নির্যাতন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সরকার যে সব যুক্তি দিয়েছে, তার বিপরীতে আমাদের যুক্তি নিয়ে জনসম্মুখে তর্কের চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেনি। হিম্মত থাকলে সামনা-সামনি মোকাবেলা করুন। জনগণের সামনে এসে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যুক্তি তুলে ধরেন। উন্নয়নের ১৬ আনার মধ্যে জনগণ এক আনা পাবে তা মেনে নেবো না। মানুষের অর্থ নিয়ে গুটি কয়েক স্বার্থনেস্বী মানুষ ভালো থাকতে চায়। কিন্তু তা মেনে নেওয়া যায় না।
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, আন্তর্জাতিক দরের চেয়ে দেশের গ্যাস দেশীয় কোম্পানিকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। নতুন গ্যাস ক্ষেত্র কেন আবিষ্কার করা হচ্ছে না? সরকার মিথ্যা প্রচার করে গ্যাসের দাম এক দফা বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে সন্ধান পাওয়া গ্যাস ক্ষেত্রে যে পরিমাণ গ্যাস রয়েছে, তাতে আরও ৩০ বছরেও দেশের গ্যাসের চাহিদা মেটাতে সংকটে পড়তে হবে না। গ্যাস বিলাস বহুল পণ্য নয়। সরকারের জবাবদিহিতাহীন প্রকল্পের জন্য জনগণের পকেট কেটে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে তিন সংগঠনের অন্যা নেতাকর্মীরাও বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
আরএটি/জিপি/টিআই