মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আবদুস সালামের শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল নয় এবং তার অবনতি ঘটছে জানিয়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে তার অগণিত শুভানুধ্যায়ী, বন্ধু, রাজনৈতিক সহকর্মীদের শুভকামনা প্রত্যাশা করে গণসংহতি আন্দোলন।
২০১০ সালে গণসংহতি আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির একীভূত হবার মাধ্যমে তিনি গণসংহতি আন্দোলনে যুক্ত হন। গত ২০১৬ সালের নভেম্বরে গণসংহতি আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্মেলনের মাধ্যমে আবদুস সালাম গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারীর দায়িত্ব নেন।
আবদুস সালাম ২৯ নভেম্বর ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মুর্শিদাবাদে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থাতেই অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্ট ফেডারেশনের সাথে যুক্ত হন তিনি।
পরবর্তীতে রাজশাহীতে চলে আসেন; ১৯৬৫ সালে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় অংশ নেন এবং সেই বছরই রাজশাহী জেলা ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন।
মূলত তখন থেকেই দেশের বামপন্থি আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে মার্কসীয় দর্শন অধ্যয়ন এবং ভারতের ও পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতি পর্যালোচনার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন আবদুস সালাম।
কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের বিভক্তির কোন অংশের সাথেই রাজনৈতিক কারণে নিজেকে যুক্ত না করে পৃথক অবস্থান নেন এবং অন্য সাথীদের সাথে মিলে প্রগতিশীল ছাত্র মৈত্রী, মার্কসবাদী লেখক সংঘ ও বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী সম্মেলন নামে তিনটি সংগঠন গড়ে তোলেন। ‘মাইতি গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই তিনটি সংগঠনের অন্যতম নেতৃত্ব হিসেবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন এবং স্নাতকোত্তর শেষ করেন। মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর সাথে তিনি কৃষক আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন।
পরবর্তীতে তিনি ভূমিহীনদের জন্য খাস জমি উদ্ধারের আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন এবং এরশাদের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৯ সালে রাজনৈতিক কারণে ১৩ মাস কারাভোগ করেন। পরবর্তীতে রাজশাহী বার ও সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশা চর্চা করেন। রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন বামপন্থি দলের সাথে যুক্ত হলেও মতপার্থক্যের কারণে নিজেকে প্রত্যাহার করেন এবং ১৯৯৬ সালে গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি গড়ে তোলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
এমজেএফ/