মিছিলের সামনে-পেছনে কয়েকটি অটোরিকশা আর মোটরসাইকেল।
ক্ষ্যাপার মতো ওদের দৌড়াতে দেখে পথচারীদের মধ্যে তৈরি হলো আতঙ্ক।
জামায়াত নেতা সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় বহাল থাকার প্রতিবাদেই মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুর ২টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকায় দেখা মিললো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ধর্মাশ্রয়ী জামায়াতের।
এ সময় মাত্র কয়েক গজ দূরে এক মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে অবৈধ রফায় নিজেকে ব্যস্ত রাখলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট ইমরান। এই মিছিলের অস্তিস্ত সম্পর্কেই যেনো ওয়াকিফহাল নন তিনি।
কৌতূহল নিয়ে মিছিলের পাশে হেঁটে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের নাম জানতে চাইলে তারা মুখের ওপর না করে দিলো।
এক জামায়াত নেতা উত্তর দিলো- ‘নাম বলা যাবে না। ব্যানারে দেখেন না জামায়াতের মিছিল। ’
এরপর নগরীর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ঠিক পাশের সড়ক দিয়ে প্রবেশ করে গুটিয়ে নেয়া হলো মিছিলের ব্যানার। হুড়মুড় করে যার যার মতো পাততাড়ি গুটাতে থাকলো দলটির নেতা-কর্মীরা।
সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ নগরী, গফরগাঁও, ফুলবাড়িয়া ও ত্রিশালে আগে জামায়াত-শিবিরের শক্ত ঘাঁটি ছিল। কিন্তু এসব স্থানে সাধারণ মানুষের প্রবল বিরোধিতার পাশাপাশি জামায়াত-শিবির পাকড়াও করতে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে পুলিশ মাঠে থাকায় তাদের সাংগঠনিক কমান্ড একেবারেই ভেঙে পড়ে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চিরুনি অভিযানে আত্মগোপনে চয়ে যায় নগরীর জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরাও। অনেকেই গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যায়।
কিন্তু সম্প্রতি নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকায় মাঝেমধ্যেই ‘দৌড় মিছিল’ করে আসছে জামায়াত-শিবির।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামের মনোযোগ আকর্ষণ করা হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ময়মনসিংহে জামায়াত-শিবিরের সব আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরও ওরা হয়তো ব্যানার নিয়ে ছবি তোলার জন্য রাস্তায় নামতে পারে। আমাদের কাছে মিছিলের ছবি দিয়ে যান। ছবি দেখে শনাক্ত করে ওদের গ্রেফতারে চিরুনি অভিযান চালানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
জেডএম/