গণহত্যা বন্ধের দাবিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক ৠলিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই দিন সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার সরকারকে তিন দিনের সময় দিয়ে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
কিন্তু গত ৩ দিনে পরিস্থিতির দৃশ্যত কোনো উন্নতি না হওয়ায় রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবারের ঘেরাও কর্মসূচি নিশ্চিত করা হয়।
বিবৃতিতে ইমরান এইচ সরকার বলেন, মিয়ানমারের চলমান গণহত্যা বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হওয়া বিশ্বের প্রতিটি বিবেকবান মানুষের দায়িত্ব। আমরা এই ভয়াবহ গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে মানবতার এই চূড়ান্ত অবমাননার খবর পৌঁছে দিতে চাই। অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধন বন্ধ করতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের তাদের নিজেদের মাতৃভূমিতে পূর্ণ সম্মান, নিরাপত্তা এবং মর্যাদার সাথে বসবাস করার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। দূতাবাস ঘেরাও করে আমরা মিয়ানমারের গণহত্যাকারী সরকারকে এই বার্তা দিতে চাই যে, মানবতার এই চূড়ান্ত অবমাননা বন্ধ না করলে অচিরেই পৃথিবীর প্রতিটি শান্তিকামী মানুষের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হবে তাদের।
সারাদেশের সকল বিবেকবান মানুষকে ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭
জেডএম/