বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে মুক্তি ভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা জানায় বাম দলগুলো।
সিপিবি, বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা 'রোহিঙ্গাদের বাঁচাও বিশ্ববিবেক জাগাও; গণহত্যা বন্ধে মিয়ানমারকে বাধ্য কর' ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা পুঁজি করে ইতোমধ্যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিভিন্ন ধরনের উসকানি ও প্রচারণা চালাচ্ছে, যা ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে।
এসময় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া, সমস্যা সমাধানে আর্ন্তজাতিক চাপ বৃদ্ধি, গণহত্যা বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফেরত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জাতিসংঘের উদ্যোগ বাড়ানোর পাশাপাশি কফি আনানের রিপোর্ট বাস্তবায়ন, মিয়ানমার সরকার ও সামরিক শক্তিকে অভিযুক্ত করে গণহত্যা-বর্বরতার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ উত্থাপন ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জল ও স্থলভাগের সম্পদ রক্ষা করতে নজরদারি বাড়ানোর প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গণ সংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এখন পযন্ত নির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। কিছুদিন হলো সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে। তার আগে মিয়ানমার সরকার দ্বারা প্রভাবিত ছিলো।
সরকার রোহিঙ্গা নিবন্ধনের যে কর্মসূচি শুরু করেছে তা দ্রুত শেষ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাসদ (মাকর্সবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা জাহিদুল হক মিলু, কমিউনিস্ট লীগের সদস্য আব্দুস সাত্তার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকবর খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭
এমসি/এএ