আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য জানিয়েছেন এ হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির নেতা হোসেন আলীর ছেলে রিপন (৩০)।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলানিউজকে এমন তথ্য জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো: রোকন ইসলাম খান।
পুলিশ জানায়, অপহরণের এক সপ্তাহ পর গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর বাঘমারা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সেপটিক ট্যাংকির ভেতর থেকে জাহাঙ্গীর (১৬) নামে স্থানীয় বহিরাগত এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের খালা জোৎস্ন্যা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো: রোকন ইসলাম খান বাংলানিউজকে জানান, এ মামলায় ইতোমধ্যেই এক নম্বর আসামি রিপন (৩০) ও রূপলকে (৪০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যাকাভ্ডের মূল হোতা রিপন আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে এ খুনের দায় স্বীকার করেছে।
এদিকে, নিহতের খালা জোৎস্ন্যা বেগমের অভিযোগ, এ মামলার এজাহারে রিপনের বাবা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির নেতা হোসেন আলীর নাম নেই। এ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতাই তিনি।
তাকে বাদ দিয়ে অসম্পূর্ণ এজাহারের কারণে শেষ পর্যন্ত হত্যা মামলটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে পারে। একই সঙ্গে হোসেন আলীর আরেক ছেলে আর.এম. রাসেলকেও এখন পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো: রোকন ইসলাম খান জানান, অজ্ঞাত আসামির তালিকায় হোসেন আলীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের প্রচেষ্টা চলছে। হোসেন আলী ও তার ছেলে রাসেল পলাতক রয়েছেন। অচিরেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
এমএএএম/জেডএম