রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে জাসদের (ইনু) উদ্যোগে ‘বিজয়ের মাসের র্যালি ও সমাবেশ’ শীর্ষক এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ইনু বলেন, বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে বিএনপি-জামাত জোটসহ স্বাধীনতা বিরোধিরা ষড়যন্ত্র করছে।
‘দেশ যখন সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে, নির্বাচনের জন্য সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সবার মুখে নির্বাচনের কথা, তখন আমি নির্বাচন প্রতিহত নিয়ে কথা বলছি। কারণ খালেদা জিয়া ও তার দোসররা সাংবিধানিক নির্বাচনকে বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন। ’
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামাত) অসাংবিধানিক উপায়ে সহায়ক সরকারের কথা বলছেন এবং ওই সরকারের অধীনে নির্বাচনের অব্যাহত প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছেন। যতোদিন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার এই প্রস্তাব অব্যাহত থাকবে, ততদিন আমাদের এই নির্বাচন প্রতিহদের ঘোষণাও জারি থাকবে। ’
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, এরই মধে খালেদা জিয়ার ওই অসাংবিধানিক প্রস্তাব নিয়ে দর-কষাকষি শুরু হয়েছে। আমরা চাই না এই দর-কষাকষির মাধ্যমে কোনো দুর্নীতিবাজ, আগুন সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদের পৃষ্টপোষক, স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি নির্বাচনে অংশ নিক।
‘আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে আমি চারটি চ্যালেঞ্জ দেখছি। এগুলো হলো- খালেদা জিয়া ও বিএনপির নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র, যথাযথ সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা, খালেদা জিয়া এবং দুর্নীতিবাজ সাম্প্রদায়িক চক্রকে ক্ষমতার বাইরে রাখা ও বাংলাদেশের উন্নয়নধারাকে অব্যাহত রাখা। ’
ইনু বলেন, এই চারটি চালেঞ্জ মোকাবেলা করেই আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব। গণতন্ত্রকে সামনে রেখে, সংবিধানকে সমুন্নত রেখে উন্নয়ন অব্যাহত রাখা সম্ভব। এজন্য চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনের বাইরে রাখতে হবে।
সমাবেশে জাসদ সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শিরিন আখতারও বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
আরএম/এমএ