শুক্রবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিকল্পধারা বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে দলের কুড়িল বিশ্বরোডের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিকল্পধারা ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিকল্পধারার যুগ্ম-মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক প্রমুখ।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের আগে সংসদ এবং প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভা ভেঙে দিতেই হবে। নির্বাচনের একমাস আগে এবং নির্বাচনের ৭-১০দিন সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। ইভিএম দিয়ে কোনো ভোটগ্রহণ চলবে না।
ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, আমরা কোনো স্বৈরাচার সরকার প্রতিষ্ঠা হতে দেবো না। ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করবো। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কোনো দল যেন দেশ শাসন করতে না পারে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছাড়া যুক্তফ্রন্ট সব রাজনৈতিক দলের বৃহত্তর ঐক্য কামনা করে। আমরা বোমা মারা বা আগুন লাগানোর রাজনীতি চাই না।
যুক্তফ্রন্টর চেয়্যারম্যান বলেন, দেশে অগণতান্ত্রিক বা অসাংবিধানিক বা কোনো ষড়যন্ত্রের সরকার আসতে চাইলে আমরা রুখে দাঁড়াবো। ছাত্র, শিক্ষক, যুব সমাজ, শ্রমিক, কৃষক সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে চাই আমরা।
বি. চৌধুরী বলেন, আমরা বিকল্পধারার সহযোগী সংগঠন প্রজন্ম বাংলাদেশের যুবকদের নিয়ে প্ল্যান বি কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবো। আমরা যুবকদের নিয়ে মাঠে নামবো।
অনুষ্ঠানে আ স ম রব বলেন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচিত হলে সব দলকে নিয়ে সরকার গঠন করবে। জনগণের সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে আমরা কোনো নির্বাচনে যাবো না।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মোটামুটি ভোট হলেও বহু আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/