শনিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মহানগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে রাজশাহীতে ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জনগণের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাকি এ মন্তব্য করেন। এ আলোচনা সভায় আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন।
সভায় জোনায়েদ সাকি বলেন, এর আগে সংবিধান সংশোধন করেই ভোট এসেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু এখন নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার কথা উঠলেই তারা আদালতের রায়ের অজুহাত দেখায়। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
এ মুহূর্তে আরও একটি জবরদস্তির নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে পরিপূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেবে। আগামী নির্বাচনকে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি অত্যন্ত জরুরি। আর এর উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। এখন দেশে কোনো রাজনৈতিক পরিবেশ নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
দেশে চরম স্বৈরাচারী দুঃশাসন চলছে দাবি করে জোনায়েদ সাকি বলেন, উন্নয়নের নামে এখন লুণ্ঠন এবং নৈরাজ্য চলছে। এ অবস্থায় স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম জোরদার করতে হবে। এ কর্মসূচিই হতে পারে বর্তমান বাংলাদেশে একটা নতুন জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি। গণসংহতি আন্দোলন সেই লক্ষ্যে বৃহত্তর সংগ্রাম গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।
জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচন এলে এ দেশের সঙ্কট কোথায় কীভাবে কার্যকর আছে তার পুরো চিত্র বোঝা যায়। নির্বাচনকে ঘিরে নানা রকম প্রস্তাব-পাল্টা প্রস্তাব থাকলেও দেখা যায় যে, সেগুলো দেশের সমস্যার সমাধানে দীর্ঘমেয়াদী কোনো সমাধান নয়। এগুলো প্রধানত জাতীয় নির্বাচনে আসন ভাগাভাগির ঐক্য হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। অথচ এ দেশে যেখানে একটি কাঠামোবদ্ধ স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে বজায় আছে, সেহেতু এখানে একটি কাঠামোবদ্ধ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বানেই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। কোনো সিট বা আসন ভাগাভাগির ভিত্তিতে নয়। অবিলম্বে তিনি একটি জাতীয় সনদ ঘোষণা করবেন বলেও জানান।
গণসংহতি আন্দোলনের রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন জেলার সংগঠক নাবিল নেয়াজ। এসময় সভায় স্থানীয় নেতারাও বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/