বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ঐক্যফ্রন্টের চা চক্রে মিলিত হন ১৯টি দেশের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার ও তাদের প্রতিনিধিরা।
কূটনীতিকদের কাছে দাবি ও লক্ষ্য তুলে ধরলো ঐক্যফ্রন্ট
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী গণফোরামের এক নেতা বাংলানিউজকে জানান, বৈঠকের এক পর্যায়ে ইউরোপের একটি দেশের রাষ্ট্রদূত ড. কামাল হোসেনের কাছে জানতে চান, জামায়াতের বিষয়ের ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান কী।
জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, জামায়াতের বিষয়ে ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে এসেছে। এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক কোনো শক্তির স্থান নেই আমাদের জোটে। এ বিষয়ে আমরা নতুন করে কিছু বলতে চাই না।
আরেকজন রাষ্ট্রদূত জানতে চান, ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, জবাবে ড. কামাল বলেছেন, এ বিষয়ে এখনই আমরা কিছু ভাবছি না। প্রথম শর্ত হচ্ছে একটি অবাধ নিরপক্ষে ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। আর সংসদীয় গণতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে।
বৈঠকে কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, কাতার, ভিয়েতনাম, কোরিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, তুরস্কসহ ১৯টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার ও তাদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমদ চৌধুরী, সাবিহ উদ্দিন আহমদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডি’র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, গণফোরামের সুব্রত রায় চৌধুরী, মোস্তফা মহসীন মন্টু, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
টিএম/এমজেএফ