ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অন্যান্য দল

রাজপথে জনগণের নতুন ঐক্য গড়ার আহ্বান গণসংহতির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৮
রাজপথে জনগণের নতুন ঐক্য গড়ার আহ্বান গণসংহতির গণসংহতি আন্দোলনের জনসভা

ঢাকা: জনগণের ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং স্বৈরতন্ত্র-লুটপাটতন্ত্র প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নিলু, ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখ্‌তার, হাসান মারুফ রুমি, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, মনিরউদ্দীন পাপ্পু, আবু বকর রিপন, মুরাদ মোর্শেদ, আরিফুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।  

সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, দশ বছর ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ যে চরম স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েম করেছে, তা নজিরবিহীন।

কিন্তু এই ক্ষমতার উৎস এমন একটি সংবিধান, যা দেশে ৭০ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে একব্যক্তির শাসন কায়েম করেছে। প্রধানমন্ত্রীই এখানে সব ক্ষমতার মালিক।

বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সকল জাতীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়োগকে প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বে রাখার কারণেই কারও কোন জবাবদিহিতা নেই বলে মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকি।  তিনি বলেন, এ অবস্থা অবসানে গণসংহতি আন্দোলন যে জাতীয় সনদ প্রস্তাব করেছে, সেখানে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে, প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একই সাথে জবাবদিহিতা ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকবে।  
জনসভা শেষে গণসংহতি আন্দোলনের মিছিলজোনায়েদ সাকি আরও বলেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে কোন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না। কিন্তু সরকার জনগণের দাবি না মেনে দেশকে হানাহানির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে সংলাপে বাধ্য করে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ফেরত আনতে হবে।

ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল তার বক্তব্যে বলেন, সরকারের হুকুম তামিল করা নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা অর্জন করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ ও জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়া ছাড়া কোন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না।  

কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ বলেন, সরকার তার ক্ষমতা সুনিশ্চিত করতে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-এর মত আইন করছে। শহীদুল আলমের গ্রেফতার গোটা জাতিকে বুঝিয়ে দিয়েছে, স্বাধীনভাবে কথা বলা এই দেশে চলবে না।

দেওয়ান আবদুর রশীদ নিলু বলেন, সরকার কৃষকবান্ধব বলে নিজেদের দাবি করে। অথচ হাজার হাজার কৃষকের নামে সার্টিফিকেট মামলা করে তাদের গ্রেফতার ও হয়রানির মাঝে রাখা হয়েছে।

জনসভায় তাসলিমা আখ্‌তার বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা ১৬ হাজার টাকা মজুরি চেয়েছিল। তাদের ৮,০০০ টাকা মজুরি দেয়ার কথা বলে সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে, এই সরকার শ্রমিক বিরোধী।  

হাসান মারুফ রুমি বলেন, কিশোররা তাদের সড়ক সংস্কারের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, তরুণরা তাদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।  

আদালতকে চরমভাবে দলীয়করণ করে মানুষের আশ্রয় নেবার কোন জায়গা সরকার আর বাকি রাখেনি বলে মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতা মুরাদ মোর্শেদ।  

নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামো উচ্ছেদে গণসংহতি আন্দোলনের জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য আগামী দিনে ধারাবাহিক সংগ্রাম গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৮
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য দল এর সর্বশেষ