ঐক্যফ্রন্টে যোগদান উপলক্ষে সোমবার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও মো. শাহজাহান, গণফোরামের মহাসচিব মোস্তফা মহসিন মন্টু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ঐক্যপ্রক্রিয়ার নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষমতাসীন সরকারকে ‘নব্যস্বৈরাচার’ আখ্যা দিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, লড়াইয়ের মাধ্যমে ইয়াহিয়া খানদের পরাজিত করা হয়েছিল, নব্যস্বৈরাচারও পরাজিত হবে।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পাশে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়ে বঙ্গবীর বলেন, আমরা লড়াই করব, আইনি সহায়তা দেবেন ড. কামাল হোসেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট উত্থাপিত ৭ দফা দাবি মেনে নিয়ে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়ে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, নির্বাচন না দিয়ে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিলে সরকারকেই তার দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।
গত ৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
সেদিন সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে একদিন সময় চেয়েছিলেন। ওই দিন রাতেই বিএনপির কয়েকজন নেতা কাদের সিদ্দিকীর বাসায় গিয়ে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮/আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা
এমএইচ/এমজেএফ