শনিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যুক্তফ্রন্টে যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বি. চৌধুরী এ কথা বলেন।
সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে এখন বুঝতে হবে নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ এখন সরকারের অধীনে নয়, সুতরাং কমিশনকে তাদের একশভাগ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে, নইলে ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না।
বি. চৌধুরী রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন আপনার অধীনে, আপনি কমিশনকে সঠিক নির্দেশনা দেবেন। আমি আশা করি সেজন্য আপনি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
সংবাদপত্রকে পূর্ণ স্বাধীন করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করবেন।
যুক্তফ্রন্ট শান্তি-সুখের বাংলাদেশ চায় উল্লেখ করে জোটের চেয়ারম্যান বলেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র হাতে হাত ধরে চলবে। আমাদের রক্তেভেজা পতাকা এবং মুক্তিযুদ্ধকে যারা স্বীকার করে না, তাদের সঙ্গে রাজনীতি করতে চাইনি। আমরা কি ভুল করেছি? অপরাধ করেছি?
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সভায় যোগ দেওয়ার জন্য দাওয়াত দিয়েও পরে সেখানে ঢুকতে না দেওয়ার বিষয়টি টেনে বিকল্পধারার সভাপতি বলেন, যারা দাওয়াত দিয়ে দরজা বন্ধ করে রেখেছিল, তাদের বক্ষ হিংসা ও ঘৃণায় আবদ্ধ। সেজন্য তাদের গ্রহণ করিনি।
যুক্তফ্রন্ট নেতা বলেন, আমরা বাংলাদেশের স্বাপ্নিক পুরুষ বঙ্গবন্ধুকে যেমন শ্রদ্ধা করি, তেমনি শ্রদ্ধা করি মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী জিয়াউর রহমান, আফ্রো-এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার গরিব মানুষের নেতা মওলানা ভাসানী, শেরেবাংলা একে ফজলুল হককে।
বাংলাদেশ এখন ঘৃণা, অশ্রদ্ধা ও হিংসায় ভরা মন্তব্য করে বি. চৌধুরী বলেন, নিমজ্জিত বাংলাদেশকে উদ্ধার করার জন্য যুক্তফ্রন্ট এগিয়ে এসেছে।
যুক্তফ্রন্টের অন্যতম নেতা বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিকল্প ধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, যুক্তফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক ও বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সারোয়ার মিলন, যুক্তফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহী বি চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম রেজা, মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, বিএলডিপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা, জাতীয় জনতা পার্টির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান, জন দল চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, বাংলাদেশ মাইনরিটি ইউনাইটেড ফ্রন্ট সভাপতি দীলিপ কুমার দাস, লেবার পার্টির (একাংশ) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, গণ সংস্কৃতি দলের সভাপতি সরদার শামস আল মামুন, বিএলডিপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন খান, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জনদল মহাসচিব সেলিম আহাম্মেদ, লেবার পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব মহসিন ভূইয়া, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রউফ মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ ইউসুফ, বিকল্পধারার সহ-সভাপতি মাহামুদা চৌধুরী, শিপ্রা রহিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে যুক্তফ্রন্টে যোগ দেয় অধ্যাপক ডা. এমএ মুকিতের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, আবু লায়েস মুন্নার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, সরদার শামস আল মামুনের নেতৃত্বাধীন গণ সংস্কৃতি দল, সালাউদ্দিন সালুর নেতৃত্বাধীন এনপিপি ও এনডিএফ জোট, বাংলাদেশ শরীয়া আন্দোলন। এছাড়া বিকল্পধারা বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ঢাকা বার ও মেট্রোবারের ২৫ জন আইনজীবীও বিকল্পধারায় যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/