১৪ দলে যে বামপন্থি দলগুলো রয়েছে তার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল হলো- বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও সাম্যবাদী দল। এ দলগুলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নেবে।
অন্যদিকে বামপন্থি ৮টি দলের জোট বাম গণতান্ত্রিক জোটে নিবন্ধিত দলগুলো হলো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। এ দলগুলো গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
১৪ দলের শরিক বামপন্থি দলগুলো ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের কাছে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আসনের তালিকা দিয়েছে। দলগুলোর প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা মার্কার প্রার্থী হবেন।
সূত্র জানায়, ১৪ দলের শরিক বাম দলগুলোর মধ্যে জাসদ চেয়েছে ১৫টি আসন, ওয়ার্কার্স পার্টি ১০টি, জাসদের আরেক অংশ (বাংলাদেশ জাসদ) ৫টি, সাম্যবাদী দল ২টি ও ন্যাপ ৩টি আসন। এ জোটে অনিবন্ধিত যে বাম দলগুলো রয়েছে তাদের কোনো আসন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ১০টি আসনে প্রার্থীর নামের তালিকা দিয়েছি। আমাদের প্রার্থী অনেক আছে, কিন্তু যেহেতু নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে তাই বিজয়ী হয়ে আসতে পারবে এমন ১০ জনের নাম আমরা দিয়েছি। এ সপ্তাহেই জোটে আলোচনা করে আসন বন্টন চূড়ান্ত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার বাংলানিউজকে বলেন, জোটে আলোচনা করে কোন দল কতটি আসন পাবে সেটা ঠিক করা হবে। জাসদ কতটি আসন চেয়েছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমাদের বর্তমানে ৬ জন এমপি আছে। এবার আমরা এর চেয়ে বেশি দাবি করছি।
এদিকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক দলগুলো ইতোমধ্যে প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। সিপিবি ১০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে ৮০টির মতো আসনে সিপিবির প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বাসদ ৬০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দলটির ইতোমধ্যে ৪০টির মতো আসনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই জোটের নিবন্ধিত অপর দল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ২০টির মতো আসনে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাম জোটের এই নিবন্ধিত তিন দল ছাড়া অন্য যে ৫টি দল রয়েছে তারাও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এই দলগুলোর প্রার্থীরা নিবন্ধিত তিন দল সিপিবির কাস্তে, বাসদের মই এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কোদাল মার্কায় নির্বাচন করতে পারেন। অথবা জোটের সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে পারেন। তবে বিষয়টি আলোচনায় আছে, এ ব্যপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ১৮ নভেম্বর বাম গণতান্ত্রিক জোটের বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে আসন ভাগাভাগিসহ সব বিষয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক মোহাম্মদ শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাম গণতান্ত্রিক জোট ২০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। এর মধ্যে আমাদের পার্টি সিপিবির প্রস্তুতি চলছে ১০০টি আসনে। জোটের অন্য দলগুলোও নিজেরা প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী ১৮ নভেম্বর জোটের সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জোটগতভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের দলের ৬০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তবে জোটে আলোচনা করে সব কিছু চূড়ান্ত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৮
এসকে/এমজেএফ