ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অন্যান্য দল

‘বাজেটে লুটেরাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
‘বাজেটে লুটেরাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়েছে’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আগামী অর্থবছরের বাজেটে লুটেরাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়েছে। কারণ যারা সরকারে আছে তারা লুট করে চলেছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে বাজেটেও লুটেরাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়েছে। 

শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির ১৫তম পুনর্গঠন বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বিদ্যমান পরিস্থিতি: ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।  

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এরকম ফোরটোয়েন্টি বাজেট এদেশে আর কখনও হয়নি।

সরকারের নিজেরাই লুটেরা। তাই  বাজেটে লুটেরাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে। এ স্বৈরতন্ত্র যদি ৩২ বছর চলে, তাহলে কী হবে?  মিশরে কী ৩২ বছর চলেনি? পরে তাহরীর স্কয়ারে যে অভ্যূত্থান হয়েছে, এটা বিশ্বে বিরল। তবে আমরা ১০ বছরে টায়ার্ড। স্বৈরতন্ত্রের অবসান হতে সময় লাগবে। হতাশার কিছু নেই।

গত নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, ভোট ডাকাতির ৫ মাসেও আমরা কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি। এরপরও ঐক্যফ্রন্টের এমপিরা সংসদে গেলেন, এটা আসলে আমাদের ব্যর্থতা। আমরা যদি রাজপথের আন্দোলন করতে পারতাম, তাহলে কিছু একটা হতো।  

তিনি বলেন, সচারচর আন্দোলন না করে সুদানের মতো আন্দোলন করতে হবে। সকল পেশাজীবীদের নিয়ে নতুন নির্বাচনের একদফা দাবি নিয়ে নামতে হবে, তাহলেই পরিবর্তন আসবে।  

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশে স্বাভাবিকভাবে কেউ ক্ষমতা ছাড়বে না। এখন বাঁচা মরার লড়াই, বড় ধরনের লড়াই করতে হবে। তরুণদের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রভাব নেই। তরুণদের সম্পৃক্ত করতে হবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে। শাসনতন্ত্র পরিবর্তনসহ জনগণের অধিকার সুরক্ষার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে। সময় এখন সরকার বিরোধীদের। যারা জনগণকে সংগঠিত করতে পারবে, তারাই আগামীতে দেশ পরিচালনা করবে।  

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, সরকার দেখছে মানুষের রাগ বাড়ছে তাই এখন দমন নিপীড়ন করছে। তবে আমি বিশ্বাস করি, একদিন এ ভয় কেটে যাবে। তবে সবাইকে ঐক্য করতে হবে। আমাদের মাঝে ঐক্য ভাঙনের ষড়যন্ত্র করছে নিজেদের কিছু লোকও। এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।  

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, চারদিকে বর্ণবাদী আচরণ বাড়ছে। তালেবানের উত্থান ঘটেছে কারচুপির নির্বাচন ও ব্যাপক দুর্নীতির কারণে। এ লড়াই শুধু গণতন্ত্রের জন্য নয়, আধিপত্যবাদী বিরোধীও। ভিন্ন কৌশল হতে হবে এদেশকে রক্ষা করতে হলে।  

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ফটো সাংবাদিক শহীদুল আলম বলেন, একটা দেশ পরিচালনা করা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এখানে যোগ্যরা দেশ পরিচালনা করবেন। কিন্তু যারা দেশ পরিচালনার দখলদারিত্ব করছে, এটা যোগ্যদের ব্যর্থতার জন্যই করেছে। এখন নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন করার সময় এসেছে।  

বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বাসদের সভাপতি খালেকুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আহমেদ কামাল, নারী নেত্রী ফরিদা আক্তার, ইফতেখার উদ্দিন বাবু, কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হক, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আলম, বাসদের আহ্বায়ক কমরেড হামিদুল হক ও অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
টিএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য দল এর সর্বশেষ