মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেক্লাবে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদ আয়োজিত ‘বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করে এ দেশকে স্বাধীন করেছি।
তিনি বলেন, যারা অর্থ-অস্ত্র দিয়ে দেশের মালিকদের দাস বানাতে চায়, তারা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করে। আমাদের মৌলিক অধিকার আদায়ে প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে। পাড়া-মহল্লায় আমাদের আলোচনা করতে হবে। সবাইকে বলতে হবে, কথা বলা আমার অধিকার, মৌলিক অধিকার হরণকারীরা আইন অমান্যকারী।
এসময় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, আমার মনে হয় কোনো এক মূখ্যতার শাসনে আমরা আছি। ব্রিটিশের ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি না। পুলিশ কাউকে ধরে নিয়ে এলো, এমনি আদালত বললেন জেলে যাও। অথচ কাউকে ধরে জেলে দিতে হলে তার নামে ওয়ারেন্ট, চার্জশিট দিতে হয়। একটি পরিবারের কাউকে জেলে দেওয়া মানে সে পরিবারটিকে ধ্বংস করে দেওয়ার সামিল। আবার রিমান্ডের নামে চলে অত্যাচার। উচ্চ আদালত জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলছেন কিন্তু মানা হচ্ছে কী।
তিনি বলেন, হাস্যকর কিছু বিষয় দেখা যায়। মানহানি বিষয়ে একজন মামলা করতে পারে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে ২২টি মামলা করা হয়েছে। মানুষের অধিকার নেই। পাকবাহিনী ৭১’-এ নির্যাতন করেছে, সরকার এখন করছে। এর উত্তরণে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। তরুণদের মাধ্যমে সব সমস্যা দূর করলে সত্যিকারের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে বলে আমি আশা রাখি।
বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদের সভাপতি নুরুল হুদা মিলু চৌধরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. মোফাজ্জল করিম, ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট মাহবুব চিশতি মাসুম, তালুকদার মনিরুজ্জামান মনির, নাসিরুদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
ইএআর/টিএ