বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ কাফি রতন, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ(মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক মোবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক যৌথ বিবৃতিতে তাদের উদ্বেগের কথা জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, কেবলমাত্র ধর্মীয় পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে ভারতের নাগরিকত্ব প্রদান এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীকে এ বিধানের আওতার বাইরে রাখায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি সাম্প্রদায়িকতার দোষে দুষ্ট।
নেতৃবৃন্দ সদ্য পাশ হওয়া এই বিলকে দ্বি-জাতিতত্ত্বের হিন্দুত্ববাদী সংস্করণ আখ্যায়িত করে বলেন, এই বিলের ফলে ভারত হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এটি ভারতের সংবিধানে বর্ণিত জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ভারতের জনগণের সমঅধিকার বিলোপ করবে। ভারতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসরত বিশাল সংখ্যক মুসলিম জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রহীন নাগরিকে পরিণত করবে এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের জনগণকে নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিবে।
‘ভারতের এই নাগরিকত্ব বিল কার্যকর হলে এর প্রতিক্রিয়ায় এ অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক বিভেদ, বিভাজন, সহিংসতা, হানাহানি বৃদ্ধি পাবে। এই পরিস্থিতির সুযোগে দেশগুলোতে চরম দক্ষিণপন্থী ধর্মান্ধ ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থানের পথ সুগম হওয়ার মধ্যদিয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগমনের পথ সুগম হবে। ’
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ভারত সরকারকে এই বিতর্কিত নাগরিক বিল থেকে সরে আসার জন্য আহ্বান জানান।
নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করে বিলটি প্রসঙ্গে দেশের জনগণের উদ্বেগের বিষয়টি ভারত সরকারকে অনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর জন্য সরকারের প্রতিও আহবান জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
আরকেআর/এমআইএইচ/এমএমএস