সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে ২০ দলীয় জোট।
ওই সময় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান সিনিয়র নেতাদের সামনে ও জুনিয়র নেতাদের পেছনে বসার আহ্বান জানিয়ে হট্টগোল থামান।
সরেজমিন দেখা যায়, সভা শুরু হওয়ার আগে ২০ দলীয় জোটের শরীক দল পিপলস লীগের মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম ও এনডিপির সভাপতি কারী আবু তাহের সামনের চেয়ারে বসে ছিলেন। ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের মহাসচিব মাওলানা আবদুল করিম তাদেরকে সরে যেতে বলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। সেসময় ইসলামী ঐক্যজোটের কয়েক জুনিয়র নেতাকেও উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়। পরে নজরুল ইসলাম খান সিনিয়র নেতাদের সামনে বসার ব্যবস্থা করেন।
এদিকে সবাইকে শান্ত করার পর সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান এলডিপির একাংশের সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের পাশের চেয়ারে এলডিপির অপর অংশের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গলকে বসতে বললে তিনি সেলিমের পাশে বসতে অনিহা প্রকাশ করে সরে যান। পরে আবারও অনুরোধ করা হলে বেঙ্গল সেখানে না বসে পেছনের চেয়ারে গিয়ে বসেন। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই এলডিপি ভেঙে দুই ভাগ হয়। এই সভায় এলডিপির একাংশের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন বেঙ্গল ও অপর অংশের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন সেলিম।
এদিকে চেয়ারে বসা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত এ হট্টগোলের ফলে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০ মিনিট পর আলোচনা সভা শুরু হয়। পরে নজরুল ইসলাম খান লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে সভা পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে সবাইকে শান্ত ভাবে আলোচনায় অংশ নিতে বলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
এমএইচ/এইচজে