বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনে বিশ্বব্যাপী ইভিএম প্রত্যাখান এবং বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা জানি ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা সব ক’টি আসনি ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ছিনিয়ে নিয়েছে।
মান্না বলেন, ২০১৮ সালের পরে আমরা পারি না। ২০২০ সালে আমাদের মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আন্দোলন করতে হবে। সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের থেমে গেলে চলবে না। শুধু মুখে কথা বলে কোনো লাভ হবে না। আন্দোলনের জন্য মাঠে নামতে হয়।
ইভিএম প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মানুষ যে যন্ত্র পরিচালনা করে, সেটা যেভাবে তৈরি করা হবে, সেভাবেই চলবে। ওরা ওদের মতো কমান্ড দিয়ে রেখেছে ইভিএমে। ধানের শীষে ভোট দিলে নৌকায় পড়ে।
তিনি একটি অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে বলেন, গত নির্বাচনের আগে একটি ইভিএম মেশিন পরীক্ষা করে দেখা যায়, মেশিনে যে কয়টি বোতাম আছে, এর প্রত্যেকটিতে চাপ দিলে নৌকা প্রতীকই উঠছে। এছাড়া যারা ভোট দিতে পারছে না, তাদের ভোটও অন্যরা দিয়ে দিচ্ছে।
‘আগে ভোট লুট করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে বিরিয়ানি খাওয়াতে হত, সন্ত্রাসী বাহিনী পালতে হতো। এখন আর সেগুলো করতে হয় না। শুধু একটি মেশিন দিয়ে সব ভোট লুট করা হচ্ছে। ’
সভায় বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিটি নির্বাচনের আগেই একেকটি নতুন পন্থা উদ্ভাবন করে। এবার একটি নতুন পন্থা অবলম্বন করেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তারা নতুন একটা পদ্ধতি বের করবে। ইভিএম নিয়ে আমরা সন্দিহান। আমরা জানি এখানে কারচুপি হবে। তবু নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছে।
স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্বে এতে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
পিএস/টিএ