ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অন্যান্য দল

করোনা পরিস্থিতিতেও এনজিও ঋণের কিস্তি আদায় অন্যায্য: সিপিবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২০
করোনা পরিস্থিতিতেও এনজিও ঋণের কিস্তি আদায় অন্যায্য: সিপিবি

ঢাকা: দেশে উদ্ভূত করোনার এই সংকট কালে এনজিওসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার কিস্তি আদায় অব্যাহত রাখাকে অমানবিক ও অন্যায্য বলে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। অবিলম্বে এ ধরনের কিস্তি আদায় বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে তারা। 

সোমবার (৮ জুন) সিপিবির কোভিড-১৯ রেসপন্স টিমের এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এ দাবি জানানো হয়।

সভায় সিপিবির নেতারা বলেন, চলমান করোনা মহামারিতে গভীর সংকটে পড়েছেন দেশের শ্রমজীবী, নিম্নবিত্ত মানুষ।

রুটি-রুজির সীমাহীন সংকটে পড়ে, খেয়ে-না খেয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে তাদের। এসব মানুষ ক্ষুদ্র ঋণের জালে আটকে আছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেক এনজিও ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায়ে বিশেষভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা শুধু অমানবিকই নয়, অন্যায্যও বটে। এনজিওরা বুঝিয়ে দিচ্ছে, মারা গেলেও তাদের শোষণ থেকে মানুষের মুক্তি নেই এ অবস্থা চলতে পারে না।

এ প্রসঙ্গে সরকারের সমালোচনা করে নেতারা আরও বলেন, ৩০ জুন পর্যন্ত কিস্তি আদায় বন্ধ না রাখলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে সরকার এনজিওগুলোর প্রতি ‘কাগুজে হুংকার’ দিয়েই নিজের দায়িত্ব শেষ করেছে। কিস্তি আদায় বন্ধ করতে কার্যত সরকারের দিক থেকে কোনো পদক্ষেপ নেই। বর্তমানে করোনা আর ক্ষুধার যন্ত্রণায় মানুষ এমনিতেই চরম অসহায় হয়ে পড়েছে, তার মধ্যে এই কিস্তির যন্ত্রণা মেনে নেওয়া যায় না। কিস্তির যন্ত্রণা থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে। ৩০ জুন পর্যন্ত নয়, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের সব ধরনের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারকে কার্যকর ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

করোনা প্রতিরোধে সরকারের নানা পদক্ষেপের সমালোচনা করে সিপিবি নেতারা আরও বলেন, সরকারের একের পর এক ভুল পদক্ষেপ করোনা সংকটকে তীব্র ও দীর্ঘায়িত করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের গাইডলাইন, পরামর্শ, মতামত উপেক্ষা করে সরকার যে খামখেয়ালিপনা করছে, তাতে পরিস্থিতির দ্রুতই অবনতি ঘটছে। সরকারের দায়িত্বহীনতা, অদূরদর্শীতা, ব্যর্থতা, সমন্বয়হীনতা, স্ববিরোধিতার খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে।

সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন-  দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, প্রেসিডিয়াম সদস্য লক্ষ্মী চক্রবর্তী, রফিকুজ্জামান লায়েক, মিহির ঘোষ, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আহসান হাবিব লাবলু, কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. ফজলুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২০
আরকেআর/এইচজে  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য দল এর সর্বশেষ