অপরূপায়
যারে তুমি অর্থ দিলে বিষয় আঁধারে
মানুষের ভিড়ে ছেড়ে দিলে তারে নিঃসঙ্গ বিহারে
ও তারে কেমনে পাবো— যারে তুমি আলো করে
আড়াল করেছো আলোর আধারে।
যদি এ অন্ধকারে লুকায়ে রাখো আরাধ্য আন্ধার
যদি তারে বলো আগুনের ভিতরে আগুন
মানুষেরে যেমন হারাও তুমি মানুষের অরূপায়
তবে তুমি কোথায় হে, কেন এ ভাষার ফাগুন।
কে বসে ওই চেয়ারে
কে তুমি গোপন করে রাখো পুরনো পাখির পালক
মানুষে মানুষে গতিচক্রে কে তুমি হে বাটারফ্লাই
অক্ষরের আগুন থেকে চুঁয়ে পড়া
প্রেমিক ও বীরের বিবিধ নিঃশ্বাস
কে তুমি আড়াল করে রাখো
শরীলের মতো প্রযুক্তিরূপে— লিঙ্গ কিংবা নারী নামে
কে তুমি ছড়িয়ে পড়ো ফাল্গুনের দুপুরের মতো
মৃত্যু ও চেয়ারের যাবতীয় অর্থের ভিতর
শক্তি-রাগ-মোহ-কাম-অভিমানে কিংবা
জীবনের দুপায়ে কে তুমি আছো চাবি হয়ে
ভয় ও সংঘাতের এমন দিনে ওই চেয়ারে
তোমারে পর্দা করে তোমারি আকারে
কে বসে, আহা কে বসে...
ইশারা
অনেক দিন পর এসেছি তোমার কাছে
আকাশে ছড়ানো আকাশের মতো
তোমাতে হারানো আমার দুচোখ
তবু কেন এসেছি তোমার কাছে
তোমার আহবানে। নিষণ্ন পাখির গানের মতো
কে তারে খোঁজে কে তারে ডাকে
আহা আসবে কি সেই মধুর বাঁকে
তোমার চুলের নিভৃত অন্ধকারে
কী তুমি লুকিয়ে রেখেছো হে
কোন সে লাইলি এসে জাগায় তার
বাহুডোর— চোখ যেন তর একহারা
কেন সেই গুপ্তরাশির এমন তপ্ত ইশারা!
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৪।