হৃথিবী রথের যাত্রী- ৪০
তোমার লালচোখ কতপথ ঘুরে এসে এই আমার কাছে বাসা নিলে। অঙ্গার এখন আমি- অজস্র চাপে, তাপে আর অনন্ত বিস্ময়ের মহানন্ত বিষে।
গিরিবালা, তোমার মেয়েমি এখন বাদ দিতে হবে, আমার ছেলেমি এখন বাদ দিতে হবে। নারকেল গাছের মাথায় বসে আছে যে বাঁদর, তার দিকে পাথর ছুড়ে চালাকি করে নারকেল নিতে হবে জাহাজ বোঝায়। সিন্দাবাদের গল্প পড়া শেষ এখন কাজে লাগাতে হবে।
অহেতুক রেগে ওঠো নিজের আঙুলের ওপর। ‘পৃথিবীর মাটি ধারালো’ বলে ফেল পায়ে একটু ফোস্কা পড়লেই। গিরিবালা, চল আমরা হরিণের চোখে ঘাস বুনে দিই, আর কাকতাড়ুয়াকে বলি- ‘বন্ধু হে, এত বড় মাঠের ধান একাই খেয়ো না, কিছুটা খেয়ে যাক কাকেরা, শালিকেরা। ’
হৃথিবী রথের যাত্রী- ৪২
‘গাছেরাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নাগরিক আর সমস্ত মানুষেরা অশ্রেষ্ঠ। ’ তোমার ঘোষণা করা স্বভাব ঘোষণা করে দিলে অথচ বহুবার বললাম - ‘আজরাইলের ডানচোখে চড় মেরে আমি কানা করিনি। ঈশ্বরের নতুন শার্ট বিড়ির আগুনে আমি পোড়াইনি। ’ গিরিবালা স্বীকার করছি তোমার কথা, বৃক্ষদের মতো পৃথিবী প্রেমিক আর কেই-বা আছে আর আমিও এক মানুষ।
মানুষেরা হাটে-বাজারে বানরের গলায় দড়ি দিয়ে বানর খেলা দেখাচ্ছে, বৃক্ষের গলায় শেকল দিয়ে কেউ খেলা দেখাচ্ছে না বলে আশাচ্ছন্ন হবার মতো বয়স আর আমাদের নেই। বৃক্ষের কণ্ঠনালীতে ঢুকিয়ে দিয়েছে আগুনের হলকা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৬
এসএস