নৈবেদ্য ১
এখানে বসন্ত আসে ধীরে তবু দেয় না ধরা
নারী স্বয়ং বসন্ত হয়ে ওঠে নিবেদন ছাড়া।
আমি নৈবেদ্য হয়ে যাই।
বসন্তের আশায়।
এ খরার মৌসুমে ঠোঁট শুকিয়ে গেছে এ বৈরীতায়
প্রিয়, সিক্ত কর চুম্বনে।
শীতল কর প্রেমের মৌসুমে।
নৈবেদ্য ২
মন বিছানো এপথ দিয়ে যমুনাতে যাও
নগ্ন রেখো আলতারাঙা তোমার যুগল পাও
নৈবেদ্য ৩
যে ফুলটি লজ্জায় লাল
যে হলদে রঙের পাখিটা উদাস,
যে আকাশ স্থবির নীল...
মনের দরজায় খিল দেওয়া মানুষটা কি বোঝে না
এখন বসন্তের দিন?
নৈবেদ্য ৪
“পুরুষ, ততোটা শাসক নও তুমি
যতোটা শাসক নারীর চোখ!”
আমাকে তোমার চোখে প্রশ্রয় দাও,
তোমাকে আমার সর্বত্রে আশ্রয় দেব।
এরচে’ আর কী-ই-বা ভালো ব্যবসা হতে পারে,
যদি বিনিময় চাও!
নৈবেদ্য ৫
কাজল নিও ঐ চোখে এই
হৃদয় পোড়া ছাইয়ের
কালির কাজল নিও নাকো
দিব্যি এই হৃদয়ের।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এমজেএফ/