গুপ্ত তথ্য
সে এবং তুমির শিকড় উৎপাটন শেষে মেয়েটি একটি সবুজ টিয়া হলো, অলৌকিক
পালক খসাতে খসাতে অভ্যস্ত জীবনের গণ্ডির বাইরে এক গলা জলে নামালো অথচ
তার অস্থি ছিপিবন্ধ একটি বোতলের ভিতর ছিলো বন্দী। প্রথাগত কুমারী নয় তবু
লোকে জানতো পুরাণকথার সাবেত্রী; বেতস লতার মতো কাঁটায় পরিপূর্ণ মেয়েটির
নখের আঁচড়ে প্রণয়প্রার্থী এক যুবকের গাল নর্দমার রূপ পেয়েছিলো।
কাব্য উঠতো ফেনিয়ে, যৌনতায় মধ্যরাতের সেতার।
বাংলার যেকোনো নদী ছিলো
সে মেয়ে। এক দিন ঝড়ের তাণ্ডব, বৃষ্টির কাজরি শেষে অদৃশ্য হলো কচুরির সাথে-
কেউ দেখেনি তারে আর দেখেনি ভুবন চিলের তীক্ষ্ণ চোখ। তার নাম ভুলে গেছে
বহুজন। অনেক কাল পর কেউ বলল এসে পাড়ায়-শুনেছো সেই
মেয়েটির কথা?
জন্মনিরোধক সামগ্রীর মতো গজিয়েছে তার আলোর পাখা। কাউকে বলিনি: সে
ছিলো আমার পরণ কথার নায়িকা।
বিরহ কথন
আমি তো সই আছি বেঁচে মরার আগে মরে গো
প্রেম শিখায় আমায় বিনোদিনী ভজে আয়ান ঘোষে গো
আমি তো মরার আগেই মরে আছি বেঁচে গো।
তারে খাওয়ায় বিনোদিনী ঘৃত-মধু ননি গো দরদী
আমায় রাখে ব্যথার চিতায় ছাই হয় গাঙের পানি
আমি তো মরার আগেই মরে আছি বেঁচে গো।
তারই জন্যে ঘাটে আসি, বাজাই বাঁশি বিনোদিনী জানে গো
কলসী ভরতে আসে না, ছল করে সে, আমায় ভালোবাসে না
এমন বাঁচা মরণ নয়তো মরণ কারে বলো গো।
লোকে বলে ছলাকলা মায়ার খেলা চোখের গাঙে ঢেউ
দেহের শাখায় জলের তৃষ্ণা মানে না বিনোদিনী গো দরদী
আমি তো মরার আগেই মরে আছি বেঁচে গো।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬
এসএনএস