স্বাধীনতা, তুমি এসেছো ক্ষুদিরামের সেই ফাঁসির মঞ্চ কাঁপিয়ে পলাশীর আম্রকানন থেকে
বিশ্বকবি রবি ঠাকুরের আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি আর বিদ্রোহী কবি নজরুলের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের ছন্দ থেকে।
স্বাধীনতা, তুমি এসেছো, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি থেকে
বায়ান্নর সেই ভাষা আন্দোলনের রাজপথের মিছিল থেকে,
স্বাধীনতা, তুমি বীরবেশে এসেছো ছেষট্টির ৬ দফা,
ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭১ সালের
৭ মার্চে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্র কন্ঠের ভাষণ থেকে।
স্বাধীনতা, তুমি এসেছো মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের লাল রক্তে ভিজে
সুজলা, সুফলা, শস্যশ্যামলা বাংলার দূর্বাঘাসের শিশিরভেজা রোদ ছুঁয়ে।
স্বাধীনতা, তুমি এসেছো মুক্তিযুদ্ধের কামানের গর্জনের মধ্য দিয়ে
হরিদাসীর সিঁথির সিঁদুর মুছে ফেলে
এসেছো তুমি লক্ষ মায়ের বুক শূন্য করে
মা হারানো, বাবা হারানো, ভাই হারানো, বোন হারানো ও স্বজন হারানো
লাখো কন্ঠের আর্তচিৎকার ভেদ করে
এসেছো তুমি স্বাধীনতা, হে, আমার প্রিয় স্বাধীনতা।
আজ তুমি কেমন আছো, স্বাধীনতা?
তুমি ভালো থেকো অনন্তকাল ধরে, তবে দূর থেকে অনেক দূরে থেকো
পাকিস্তানের সেই দালাল দোসরদের আঙ্গিনা থেকে
যারা প্রতিনিয়তই তোমাকে সাম্প্রদায়িকতার বুলি দিয়ে
আঘাতে আঘাতে ক্ষত বিক্ষত করতে চায়, তাদের কাছ থেকে
বহু দূরে থেকো হে, আমার প্রিয় স্বাধীনতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
টিএ