গল্প আড্ডা গান সবই হচ্ছে অনলাইনে। সেই আয়োজনে সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিও।
তবে সম্প্রতি এই আয়োজনের মধ্যে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমির অনলাইনে 'শিল্প আড্ডা' আয়োজনটি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির 'করোনার বিরুদ্ধে শিল্প' শীর্ষক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয় 'শিল্প আড্ডা' অনুষ্ঠান। সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে প্রতিদিন রাত পৌনে নয়টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনটিতে উঠে আসে দেশের শিল্পীদের সঙ্গীত, আবৃত্তি, অভিনয়, আলোচনা। একই সঙ্গে সরাসরি ফেসবুকে সম্প্রচার হওয়ার ফলে খুব সহজেই আয়োজনটির সঙ্গে যুক্ত হন দর্শকরাও। জানান তাদের অনুরোধ আর প্রত্যাশা ও ভালোবাসার কথা।
শিল্প আড্ডা আয়োজনটি বাস্তবায়ন করছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সিলেট জেলার কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত।
তিনি জানান, বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত মানুষের মনোবল বৃদ্ধি করা, প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনা, তাদের মানবিক ও সবংবেদনশীল করে জাগিয়ে তুলতেই এ ধরনের আয়োজন। কেননা এটি একদিক থেকে যেমন বিনোদন, তেমনি শিক্ষা। এমন পরিস্থিতিতে শিল্পকলা একাডেমির 'করোনার বিরুদ্ধে শিল্প' শীর্ষক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয় 'শিল্প আড্ডা' আয়োজনটি। আর এ কাজে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও অন্যান্য কর্মকর্তাসহ সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।
রোববার (১০ মে) বিকেলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এই আয়োজনে প্রতিদিন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এছাড়া দেশের প্রতিটি জেলার মধ্য থেকে প্রতিদিন তিনটি জেলার একজন করে শিল্পী এতে অতিথি হিসেবে অংশ নেন। দেশের বাইরে ভারত এবং লন্ডন থেকেও বিভিন্ন গুণী শিল্পীরা এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ের গুণি শিল্পীদের পাশাপাশি সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী, প্রশিক্ষনার্থী, জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার প্রাপ্ত বিভিন্ন শিশু শিল্পী এবং তরুণরাও এই আয়োজনে অংশ নেন।
তিনি বলেন, সঙ্গীত, আবৃত্তি ও অভিনয়ের পাশাপাশি নৃত্য এবং যন্ত্রসঙ্গীতও এতে সংযোজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আর নতুন সংযোজন হিসেবে এই আয়োজনে একজন চিকিৎসক করোনা ভাইরাস সচেতনার বিষয়ে আলোচনা করবেন। আমার ইচ্ছে আছে ক্রমান্বয়ে এই আয়োজনে দেশের প্রতিটি জেলার শিল্পীকেই সম্পৃক্ত করা। একই সঙ্গে দেশের বাইরে থেকেও আগামীতে বিভিন্ন শিল্পীরা এতে অংশ নেবেন বলে আশা করছি। সেখান থেকে শিল্প আলোচনাও আয়োজনে দর্শকরা উপকৃত হবেন বলেই আমার বিশ্বাস।
এদিকে ২৯ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত আয়োজনের ১২টি পর্বে দর্শকরাও সাড়া দিয়েছেন বেশ ভালোভাবে। তারা আয়োজনটিকে একটি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত ও নিজেদের সমৃদ্ধ করার মাধ্যম হিসেবেই দেখছেন। আর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই আয়োজন অব্যাহত রাখাসহ নতুন বিভিন্ন আয়োজন নিয়ে সাধারণ জনগণ ও শিল্পমোদী মানুষদের সঙ্গে থাকার কথা জানিয়েছেন সিলেট জেলার এই কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৬ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২০
এইচএমএস/টিএম/এসআইএস