ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা করছে: মোশাররফ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
সরকার একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা করছে: মোশাররফ

ঢাকা: সরকার আবারো একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) সবার অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছিল।

রক্ষীবাহিনী গঠন করে ২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। সেই আওয়ামী লীগ আবারো দেশে ১৪ বছর ধরে গায়ের জোরে দেশ শাসন করছে। ২০১৪ সালে বিনাভোটে সংসদ গঠন করেছে। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতেই ডাকাতি করেছে।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথম যারা ক্ষমতায় ছিল তারাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নষ্ট করেছে বলে মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ধরে গায়ের জোরে দেশ শাসন করছে। স্বাধীনতার ৫১ বছরেও আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। অথচ গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পাকিস্তানি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে একাত্তরে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে। আইনজীবী, সাংবাদিক রাজনীতিবিদ সবাইকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করেছে। এই সরকার সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ। তাদের অর্থ পাচার এতো বেশি যে, দেশের অর্থনীতি এখন ধ্বংসের কিনারে। আজকে যারা গণতন্ত্র, অর্থনীতি, সুবিচার নষ্ট করেছে তাদের দেশের জনগণ আর দেখতে চায় না। সুতরাং সকলের দায়িত্ব হচ্ছে, এই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা। তা না হলে কারো রেহাই নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমাদের শহীদেরা জীবন দিয়েছিলেন একটি সাম্যের, একটি শোষণমুক্ত বাংলাদেশের জন্য। আজকের দেশের মানুষ শান্তিতেও নাই, স্বস্তিতেও নাই। অতএব সেই দেশটাকে আমাদের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে, যেই দেশটার জন্য এ শহীদ বুদ্ধিজীবীরা জীবন দিয়েছিলেন।

পাকিস্তানিরা হত্যা করে বুদ্ধিজীবীদের সরিয়ে দিয়েছিল আর আওয়ামী লীগ সরকার প্রলোভন দেখিয়ে বুদ্ধিজীবীদের সরিয়ে রেখেছে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

তিনি বলেন, সরকারের প্রলোভনের কাছে বুদ্ধিজীবীরা জিম্মি হয়ে গেছে। ফলে তথাকথিত বুদ্ধিজীবী যারা আছেন তারা এখন আর কথা বলেন না। তারা এখন পদ-পদবি এবং পুরস্কার এসবের মধ্যে চলে গেছেন। জাতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। লুটপাট, খুনখারাপি এমন কিছু নেই যে, এই সরকার করছে না। তারপরও এই বুদ্ধিজীবীরা কোনো কথা বলছেন না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আসুন আমরা নতুনভাবে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার শপথ করি। যেভাবে একাত্তরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করেছিলাম।

আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।