ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

মির্জা ফখরুলের বাসায় পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ  

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
মির্জা ফখরুলের বাসায় পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ
 

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব কারান্তরীণ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীকে সহমর্মিতা জানিয়েছেন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।  

রোববার (২৫ ডিসেম্বর)  রাতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে পেশাজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল বিএনপির মহাসচিবের উত্তরার বাসায় যান।

তারা মির্জা ফখরুলের সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগমের সঙ্গে দেখা করে পরিবারের সদস্যদের সার্বিক খোঁজখবর নেন।  

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, কৃষিবিদ ড. গোলাম হাফিজ কেনেডি, সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, ড. মামুন অর রশিদ, প্রফেসর আবু জাফর খান, ড. ইমতিয়াজ খান, ডা. আমিনুল বারি কানন, ডা. সোহেল আহমেদ, ড. ইদ্রিস আলী, ব্যারিস্টার আবুল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মো. হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার এবিএম রুহুল আমিন আকন্দ, ইঞ্জিনিয়ার কাজী সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রশিদ মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার ওমর ফারুক, সাংবাদিক রিয়েল রোমান, তানভীরুল হাসান খান, কল্লোলসহ অনেকে।

এসময় সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তি হিসেবে জামিন পাওয়ার অধিকারী। তাছাড়া বর্তমানে যে অভিযোগে তিনি কারাগারে রয়েছেন, প্রায় একই রকমের ৯০টি মামলায় এর আগে তিনি জামিন পেয়েছেন। শুধু রাজনৈতিক কারণে তার জামিন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। এতে আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে আস্থার সংকট দেখা দিতে পারে।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল দেশের একজন অতি গুরুত্বপূর্ণ ও বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ। ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের ঠিক আগের দিন তাকে গ্রেফতার এবং বারবার তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করায় জনমনে এ ধারণাই প্রবল হচ্ছে- তার বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল বাংলাদেশের একজন মার্জিত রাজনীতিক। তিনি এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করছেন। তার বয়স এখন ৭৬ বছর। তিনি নানান জটিল রোগে ভুগছেন। তার বিরুদ্ধে গত ১০ বছরে ৯২টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলা ডাহা মিথ্যা। একই ধরনের সব মামলায় জামিন পেলেও নতুন মামলায় কেন তার জামিন হচ্ছে না, তা বুঝতে কারো বাকি নেই।

সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সামাজিক অবস্থান, বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় মির্জা ফখরুল জামিন পাওয়ার যোগ্য। জামিন না দিয়ে ন্যায়বিচার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। জামিন না দেওয়া এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতায় পরিণত হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে বোঝা যায়, বিচারব্যবস্থা অচল এবং এর পরিবর্তন আবশ্যক। আদালতকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিচারপ্রার্থী কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হন, তা বিবেচনা করতে হবে। মামলার এজাহারে যার নাম নেই, সুনির্দিষ্টভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগও নেই। তারপরও তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এটা কি একটা মগের মুল্লুক?
 
অভিযোগ আনলেই হয় না। অভিযোগের সম্পৃক্ততাও আদালতে প্রমাণ করতে হবে। সম্পৃক্ততা থাকলে আদালত তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিতে পারেন। রাষ্ট্রপক্ষের বিরোধিতার কারণে জামিন না দেওয়াটা কাঙ্ক্ষিত নয়। এভাবে বিচারব্যবস্থা চলতে পারে না। প্রচলিত বিচারব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। নাহলে আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে।


বাংলাদেশ সময়: ০১৩৬ ঘণ্টা,  ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
এমএইচ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।