ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

কেউ ক্ষতি করতে চাইলে জনগণ জবাব দেবে: শেখ হাসিনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৩
কেউ ক্ষতি করতে চাইলে জনগণ জবাব দেবে: শেখ হাসিনা শনিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত জাতীয় কমিটি, কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি কেউ যাতে গতিরোধ করতে না পারে, সে জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেউ আর্থ-সামজিক ক্ষতিসাধন করতে চাইলে তাদের উপযুক্ত জবাব বাংলাদেশের জনগণ দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির নবনির্বাচিত জাতীয় কমিটি, কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

গত ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের পর টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের প্রথম যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল। তাদের ঘৃণা জানাতে হবে। তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। হত্যা, খুন ও গুম জিয়াউর রহমান শুরু করেছিল। খালেদা জিয়া ও তার কুলাঙ্গার পুত্র মিলে ২১ আগস্ট থেকে শুরু করে এত মানুষ হত্যা করেছে এবং অত্যাচার নির্যাতন করেছে। আগামীতে যদি একটা মানুষকেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত করে তাহলে যে হাত দিয়ে আগুন দেবে ওই আগুনে সেই হাত পুড়িয়ে দেওয়া হবে। যে হাতে মানুষ খুন করবে তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হবে। এই কথাটা যেন সকলের মনে থাকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা আন্দোলন করতে চায়, আমরা বাধা দেবো না। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি আবারও কোনো রকমের নাশকতা করে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ; উন্নয়নশীল দেশের ক্ষতি সাধন করতে চায়, আর্থ-সামজিক ক্ষতিসাধন করতে চায় তাহলে তাদের উপযুক্ত জবাব বাংলাদেশের জনগণ দেবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ২৯টি সিট পেয়েছিল। পরে উপনির্বাচনে একটা। এটা বোধ হয় আপনাদের মনে থাকে না। এটাই ছিল তাদের শক্তি। সে জন্য তারা কোনো নির্বাচন চায় না, ভিন্ন পথে ক্ষমতায় আসতে চায়।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, তারা বলে আওয়ামী লীগ নাকি দেশের সর্বনাশই করেছে। তাহলে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কী তাদের সর্বনাশ করা? এগুলো কী মানুষের ক্ষতি সাধন করা? তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে, ক্ষতিটা দেখলো কোথায়? একই দিন ১০০ সেতু ও ব্রিজ এবং ১০০টি সড়ক উন্নত ও উদ্বোধন করা কী সর্বনাশ? এগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরা উচিত। আমরা আছি জনগণের পাশে আর তারা আছে ধ্বংস করতে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশটাকে নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। আমরা কাউকে দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেবো না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশ চলবে। এই মাটিতে (টুঙ্গিপাড়া) বসে এই প্রতিজ্ঞা নিচ্ছি যে, বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি কেউ যাতে গতিরোধ করতে না পারে, তার জন্য আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিটি নেতাকর্মী সজাগ থাকবে, দৃঢ থাকবে। যে কোনো অপকর্মের প্রতিরোধ করবে। এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৩
এসকে/এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।