ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে: কামরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৩
বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে: কামরুল

ঢাকা: বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমমনা কিছু খুচরো পার্টি নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

বোরবার (৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। সেই নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি এখন থেকে। অন্যান্য দলও প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমমনা কিছু খুচরো পার্টি নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বিজয় লাভ করেছিলাম ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। সেই বিজয় পূর্ণতা লাভ করেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ১০ জানুয়ারি বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছিলেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এবং দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ বিজয়ের প্রকৃত স্বাদ উপলব্ধি করেছিল সেদিন।

কামরুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২৯ বছর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এ দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। এ ২৯ বছরে তারা আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। এ দেশের নতুন প্রজন্মকে ভুল শিক্ষা দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের খণ্ডিত ও বিকৃত ইতিহাস তাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, যে পথ ধরে জিয়াউর রহমান এগিয়েছিল, সেই একই পথ ধরে খালেদা জিয়াও এগিয়েছে। তিনি নিজামী, মুজাহিদের গাড়িতে স্বাধীনতার পতাকা তুলে দিয়েছেন। গোলাম আজমকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনেছেন। তার আমলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একাত্তরের কায়দায় দেশের মাটিতে ভয়াবহ নৃশংসতা দেখেছে জনগণ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন আজকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি আমরা, ঠিক তখনই দেশকে আবার পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজকে লন্ডন থেকে স্লোগান দেয়, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। আমরা যখন বলি গো ফরওয়ার্ড বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ, তখন তারা টেক ব্যাক বাংলাদেশের স্লোগান দেয়।

বিএনপি দেশের সব গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে অভিযোগ করে কামরুল ইসলাম বলেন, তারা নির্বাচন মানে না, সংবিধান মানে না, বিচার ব্যবস্থা মানে না।

বিএনপি নির্বাচন কমিশন ও সংবিধান মানতে চায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে, যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আজকে সংবিধানে নেই। এটা সংবিধানে সংযোজন করার আর কোনো সুযোগও নেই।

বিএনপির উদ্দেশে কামরুল ইসলাম বলেন, আপনারা অহেতুক যেই খেলায় নেমেছেন, সেই খেলায় কোনো সময় সফলতা পাবেন না। নির্বাচন হতে দেব না এ উদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য, ফ্যাসিস্ট কায়দার বক্তব্য পরিহার করুন। আপনারা ২০১৪ সালেও এ ধরনের স্লোগান দিয়েছেন কিন্তু নির্বাচন বানচাল করতে পারেননি, নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যথা সময়ে শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবেন। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনের একদিন আগেও শেখ হাসিনা ও সরকার পদত্যাগ করবে না। পূর্ণমেয়াদ অতিবাহিত করবে এ সরকার। তাই আন্দোলন করে কোনো লাভ হবে না।

সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়াজ মুহাম্মদ খানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ করিম খানের উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান, জয় বাংলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি নিজাম উদ্দিন তালুকদার, আওয়ামী পেশাজীবী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সেতু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২২
এসসি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।