ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘ধরে ধরে ভোট দেয়ানো সম্ভব না, মানুষকে বোঝাতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
‘ধরে ধরে ভোট দেয়ানো সম্ভব না, মানুষকে বোঝাতে হবে’

ঢাকা: মানুষকে ধরে ধরে ভোট দেয়ানো সম্ভব না, তাদের বোঝাতে হবে বলে মনে করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

তিনি বলেন, সামনে পুরো বছর নির্বাচনের সময়।

এখন থেকেই মাঠে যদি না নামি তাহলে আমাদের কপালে দুঃখের ব্যাপার আছে। তাই আমি মনে করি, প্রথম কাজ হচ্ছে নির্বাচনের জন্য মানুষের মানসিক জায়গা তৈরি করে দেওয়া। আমরা যে যেখানেই আছি চলেন মানুষকে বোঝাই।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ‘১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: বাঙালির স্বাধীনতার পরিপূর্ণতার দিন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

ইয়াফেস ওসমান বলেন বলেন, এলাম এবং বক্তৃতা দিলাম আর চলে গেলাম এটাতেই রাজনীতি হয় না। সামনে আমাদের একটা যুদ্ধ আছে, এটাকে হালকাভাবে নিয়েন না। যদি ভাবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা অনেক কিছু করেছেন, মানুষ আমাদের ভোট দেবে—এমনটা ভাবারও কিছু নেই। যদি সত্যিকার মানুষ হয় তাহলে সে এর বাইরে কেমনে যাবে? তারপরও শত্রুরা কিন্তু বসে নেই। অর্থও আছে তাদের কিন্তু কেবল মাত্র সমর্থন নেই, মানুষ তাদের সঙ্গে নেই। যে কারণেই আমাদের মানুষকে বোঝাতে হবে।

পাকিস্তান আমলেই ভালো ছিলাম—মির্জা ফকরুলের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বলেন, পাকিস্তানিরা তাদের প্রধান মন্ত্রীকে বলেন—আমাদের সুইডেন হওয়ার দরকার নেই, বাংলাদেশ বানালেই হবে। যেখানে ওরা (পাকিস্তানিরা) বলে এই কথা সেখানে এই ব্যক্তির (মির্জা ফকরুলের) কথা শুননে আমাদের ঘৃণা হয়। ওদের কথা শুনে আমার একটা কবিতা মনে পড়ে।

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু হত্যা কেন হয়েছিল এবং এর কারণ জানতে কমিশন গঠনের দাবি জানান বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। তিনি বলেন, সত্য ইতিহাস আমাদের জানা উচিত।  

বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফায়েকুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।