ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মানুষের ঢল নামবে: লিটন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মানুষের ঢল নামবে: লিটন

রাজশাহী: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘গত ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে ১০ থেকে ১৫ হাজারের বেশি লোক হয়নি। তাদের সমাবেশে মানুষ আসেনি।

মানুষ আসার কোনো কারণও খুঁজে পায়নি। আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা আছে। ওই জনসভায় সেদিন মানুষের ঢল নামবে।

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার লক্ষ্যে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে এই প্রতিনিধি সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘ছয় মাসের মতো হলো বিএনপি নামক একটি দল দেশের রাজনীতি, দেশের পরিবেশ অশান্ত করে তুলছে। তারা একেকবার একেক কথা বলছে। কখনও বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় ছাড়া নির্বাচনে যাবে না, কখনও বলছে নির্বাচিত সরকার যিনি আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার, সেই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। কখনও ২৭ দফা দাবি করছে, কখনও ১০ দফা দাবি করছে। তাদের দাবির ঠিকঠিকানাই নেই।

খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, ইতোমধ্যে তারা সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করেছে। তারা একেকটি সমাবেশে একেক ঘোষণা দিয়েছে। রাজশাহীতে বলেছে, ডিসেম্বরের ৩ তারিখের রাজশাহীর ওই সমাবেশ সেমিফাইনাল এবং ১০ তারিখে ঢাকায় হবে ফাইনাল খেলা। এটি আমরা জানি। কিন্তু রাজশাহীতে যারা বসবাস করি তারা দেখেছি, বিএনপি বলেছিল লাখ লাখ মানুষ হবে তাদের এই কথিত দুর্গে। একসময় তারা যেটিকে দুর্গ বলতে খুব ভালবাসতো, সেই দুর্গে তাদের মিটিংয়ে আমরা দেখলাম লোকসংখ্যা খুব বেশি হলে ১০ থেকে ১৫ হাজারের বেশি হয়নি।  

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এমপি ও প্রধান বক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বক্তব্য রাখেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি সারাদেশে জনসভা করেছে, আমরা সহযোগিতা করেছি, নিরাপত্তা দিয়েছি। কিন্তু আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখন তারা আমাদের জনসভায় বোমা হামলা ও গ্রেনেড হামলা চালাতো। তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য এখানেই। আমরা শক্তিতে বলিয়ান, আর ওরা অস্ত্র ও ষড়যন্ত্রের শক্তিতে বলিয়ান।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার। সভা সঞ্চালন করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

সভায় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দূর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী -৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেটসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ 
এসএস/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ