ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার সকল উন্নয়নের প্রতিবন্ধক: দুদু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
সরকার সকল উন্নয়নের প্রতিবন্ধক: দুদু

ঢাকা: বর্তমান সরকার দেশের সকল উন্নয়নের প্রতিবন্ধক ও ধ্বংসের কারণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ার প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তি‌নি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশের সকল উন্নয়নের প্রতিবন্ধক, ধ্বংসের কারণ হচ্ছে এ সরকার। এ সরকারকে যদি অপসরণ করা না যায়, তাহলে দেশ একসময় একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ফিরে আসবে না। ৫২ বছর আগে যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই স্বাধীনতা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। গণতন্ত্র ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এ সরকার প্রতিনিয়ত দাবি করে, তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। বিভিন্ন সূচক তারা দেখায়, কী কী ক্ষেত্রে তারা সাফল্য অর্জন করেছে। অথচ জাতিগতভাবে আমরা একটি চোরের জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছি। এমন কোনো খাত নেই, যেখানে চুরি হয়নি। ব্যাংক লুটের ক্ষেত্রে আমরা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছি।

তিনি আরও বলেন, যেসব বেসরকারি ব্যাংক সাফল্যের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল ইসলামী ব্যাংক। সেটিকে একেবারে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। যে ব্যাংক অন্যকে ঋণ দিতো, সেই ব্যাংক এখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে।

গণতন্ত্র লুণ্ঠনের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, এখানে তথাকথিত নির্বাচন হয়। যে নির্বাচন সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়ার কথা, সেটি আগেরদিন রাত ১২টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে সংবিধানকে পদদলিত করা হয়েছে, মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কেউ কোনো কথা বললেই মামলার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যে মামলার কোনো অস্তিত্ব নেই। বর্তমান সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর মামলার ক্ষেত্রে গায়েবি শব্দ এসেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলের অহংকার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, শুধু দেশ বা দক্ষিণ এশিয়া নয়, সারাবিশ্বে ওনার মতো নেত্রী দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি আপোষহীন নেত্রী। যখন যে কথাটি বলেন, বুঝে শুনে বলেন এবং শেষ পর্যন্ত সেটি প্রতিষ্ঠা করেন। অথচ একটি নিরেট মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ চারটি বছর তাকে আটকে রাখা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাধারণ জীবনের অধিকারী উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাবা রাষ্ট্রপতি ও মা প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তার ভেতর আমরা কখনও অহংকার দেখিনি। তিনি সব সময় দেশের জন্য কাজ করেছেন। তার অপরাধ হচ্ছে, তিনি গণতন্ত্র, স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষ। তিনি মানুষের কথা বলেন, মানুষের জন্য লড়াই করেন। এ জন্য তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসনে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যারা দেশের অহংকার, তাদের হয় জেলে, আর না হয় বিদেশে নির্বাসিত। তাই সকলকে আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসতে হবে। এছাড়া মুক্তির আর কোনো বিকল্প নেই।

জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ কাদির নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী ক‌মি‌টির সদস্য আবু না‌সের মো. রহমাতুল্লাহ, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন করির ব্যাপারী ও জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
এসসি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।