ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘জনগণ গণঅভ্যুত্থানে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩
‘জনগণ গণঅভ্যুত্থানে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাবে’

ঢাকা: বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর লড়াই গড়ে উঠছে জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশের জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাবে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১৪ দফা দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করে সাতটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।

সাকি বলেন, বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে। তাদের স্মার্টনেস মানে তাদের চাকরি করা, মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া, ভোট চুরি করে সেটাকেই গণতন্ত্র বলা। দেশের মানুষ আর এ মিথ্যাচার নেবে না। দেশের মানুষ দালাল নামিয়ে আন্দোলন ধ্বংস করা বেশি দিন আর দেখবে না। মানুষ জেগে উঠছে, রাজপথ মানুষে সয়লাব হবে। সরকারের সব দালালি, চক্রান্ত, দমন-পীড়ন ও ভয়কে ডিঙিয়ে এ দেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থান করে তাদের ক্ষমতা থেকে নামাবে। সেই লড়াই গড়ে উঠছে।

তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে সরকারের পোষ্য লোকেরা, ভাই-ব্রাদাররা, আত্মীয়-স্বজনরা সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশ থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে নিয়ে নিয়ে হোটেল কিনছে, ব্যবসায় বিনিয়োগ করছে।

সাকি বলেন, কথা ছিল ২০১৪ সালের মধ্যে বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হবে। এ বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো যখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে তখন ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আর কোনো দরকার হবে না। কিন্তু সরকার ভাড়া করা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ না করে তাদের বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, সরকার গত কয়েকদিন আগে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এর ১৯ দিন আগে একবার বাড়ানো হয়েছিল। আগামী মাসে তারা আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াবে। দেশের যেসব মানুষ খেতে পায় না তাদের ঝোলা থেকে টাকা নিয়ে সরকার তাদের আত্মীয়-স্বজন, ভাই-ব্রাদারদের পকেট ভরানোর ব্যবস্থা করছে। এ হলো তাদের উন্নয়ন।

সরকার সদ্য অনুষ্ঠিত ছয়টি আসনের উপ-নির্বাচনও ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য করতে পারেনি জানিয়ে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে হিরো আলম দাঁড়িয়েছেন। মানুষ আগ্রহী হয়ে তাকে ভোট দিল। কিন্তু হিরো আলমকে স্যার বলতে হবে, এটা প্রশাসনের লোকেরা মানতে পারলো না। তাই হিরো আলম জিতলেও তাকে জিততে দেয়নি সরকার।

গরিবের প্রতি ঘৃণাই এ শাসকদের চেহারা মন্তব্য করে সাকি বলেন, গরিবের প্রতি ঘৃণা দেখানোর ওদ্ধত্য এ শাসকদের আছে। তাদের গলায় গামছা বেধে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে।

সরকারের উন্নয়ন আর স্মার্ট বাংলাদেশের চক্রান্তে জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা (জনগণ) রাজপথে নামুন। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য, দেশকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৩
এসসি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।