ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপির অপরাজনীতি না থাকলে গণতন্ত্র সূচকে আরও উন্নতি হতো: তথ্যমন্ত্রী 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
বিএনপির অপরাজনীতি না থাকলে গণতন্ত্র সূচকে আরও উন্নতি হতো: তথ্যমন্ত্রী  সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিএনপি সংসদ বর্জন, সংসদ থেকে পদত্যাগের মতো অপরাজনীতি না করলে বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের আরও উন্নতি হতো বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।  

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেছেন৷

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) ‘গণতন্ত্র সূচক ২০২২’ প্রকাশ করেছে।

সেখানে বাংলাদেশ দুই ধাপ এগিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে গত ৫ বছরের প্রতিবছরই গণতন্ত্র সূচকে ধারাবাহিক ভাবে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ৮৮তম, ২০১৯ সালে ৮০তম, ২০২০ সালে ৭৬তম, ২০২১ সালে ৭৫তম এবং এবছর বাংলাদেশের অবস্থান ৭৩তম।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা, তাদের সমমনা নেতারা এবং কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী ক্রমাগতভাবে বলে আসছে, টিভির পর্দা ও জনসভা গরম করছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করা অপচেষ্টা করছে দেশে গণতন্ত্র নেই বলে। অথচ গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশ গণতন্ত্র সূচকে ক্রমাগত অগ্রগতি করছে। এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপিসহ অন্যান্য দল বা ব্যক্তি বিশেষ বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং গণতন্ত্র নাই বলে যে ধোয়া তোলা এগুলো যে মিথ্যা ও অসাড় সেটাই প্রমাণ করে।

তিনি বলেন, প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও সংহত হতো। গণতন্ত্রকে দৃঢ় ও সংহত করার দায়িত্ব শুধু সকারের একার নয়। সবার সম্মিলিত দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্র সংহত করা। সেটা সব রাজনৈতিক দল, সরকারি দল, বিরোধীদলের দায়িত্ব। সে সরকারের থাকুক বা না থাকুক। বাংলাদেশ গণতন্ত্র আরও সংহত হতো। আরও অগ্রগতি করতো, কয়েক ধাপ উন্নীত হতো। যদি বিএনপির অপরাজনীতি না থাকতো। সংসদ বর্জন, সংসদ থেকে পদত্যাগ- এই অপরাজনীতি যদি না থাকতো গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ আরও বহু ধাপ এগিয়ে যেতে পারতো। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংৱাদেশের গণতন্ত্রের যে চর্চা হচ্ছে, রীতিনীতির চর্চা হচ্ছে সেটার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) ‘গণতন্ত্র সূচক ২০২২’ প্রকাশ।

বিএনপি বলছে দেশে গণতন্ত্র নেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না, ঠিক সে সময় এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশকে আপনি কিভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনই বলছে বাংলাদেশোর গণতন্ত্র সুসংহত হচ্ছে অব্যাহত ভাবে। গতবছরের তুলনায় বাংলাদেশ গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি কিংবা তাদের সমমনা দলগুলো যে বক্তব্য রাখছে সেগুলো অসাড়। তারা গণতন্ত্রকে নসাৎ করার যদি কর্মকাণ্ড না থাকতো তাহলে বাংলাদেশ সূচকে আরও বহুদূর এগিয়ে যেতো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৩
জিসিজি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।