ঢাকা: গত ৪ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ১০টি বিভাগীয় শহরে সমাবেশ সফল করার মধ্য দিয়ে জনগণ বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেল, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি, আওয়ামী সন্ত্রাস ও সরকারের দমন-নিপীড়ন, নির্যাতন বন্ধ, গণতন্ত্রবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিভাগীয় সমাবেশ সফল করায় বিএনপির পক্ষ থেকে সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সব স্তরের জনসাধারণসহ নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রিন্স বলেন, দেশের এ চরম দুর্দিনে আমরা সরকারকে দমন-নিপীড়ন করে আন্দোলন নসাৎ করার পথ পরিহার করার আহ্বান জানাচ্ছি এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী, গণতন্ত্রহরণকারী সরকারকে দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে সংঘাত উস্কানির পথ পরিহার করে গণদাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পথ সুঘম করার ও জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্ত্বশীল সরকার, সংসদ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাই। অন্যথায় গ্রাম, শহরের জনপদে অধিকার হারা, নিরন্ন বুভুক্ষ মানুষের যে পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে তাতে গণঅভ্যুত্থান অবশ্যম্ভাবী।
তিনি আরও বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলাবাজ, মামলাবাজ সরকার ও ক্ষমতাসীনদল আওয়ামী লীগ বরাবরের মতোই বাধা-বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে, কোথাও কোথাও অঘোষিতভাবে পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে, গাড়ির রির্জাভেশন বাতিলসহ যাত্রী পরিবহনের গাড়িতেও নেতাকর্মীদের আসতে দেওয়া হয়নি। নেতাকর্মীরা কষ্ট করে হেঁটে, ভ্যানে চড়ে, নৌকায় করে বা অন্য কোনো বিকল্প উপায়ে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপির কর্মসূচির দিনে শান্তি সমাবেশের নামে পাল্টা সমাবেশ দিয়ে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে মহড়া দিয়ে অশান্তি, সংঘাত সৃষ্টি করে। এবারও তারা একই পথ অবলম্বন করেছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা মহড়া দিয়ে সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম হামলা করেছে, নেতাকর্মীদের আহত করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে উল্টো আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এমনকি ঘটনাস্থলে ছিলেন না এমন অনেক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। আমরা এ গ্রেফতার, দমন-নিপীড়ন, মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এসব বন্ধ করে গ্রেফতারকৃত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
এমএইচ/আরবি