ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভালো নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারেই সম্ভব: দুদু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
ভালো নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারেই সম্ভব: দুদু

ঢাকা: দেশে ভালো একটি নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারের মাধ্যমেই সম্ভব। আর বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় যেতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলার আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকনের ওপর হামলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ছালেক রিকাবদারের কোমরে দড়ি ও হ্যান্ডকাফ বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধনটি আয়োজন করে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।

মানববন্ধনে দুদু বলেন, আর কিছুদিন পর নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। বিএনপি এ পর্যন্ত যতবার ক্ষমতায় গিয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে গিয়েছে। ভালো নির্বাচনের জন্য আমরা কেয়ারটেকার সরকারের কথা বলেছি। নির্বাচনের মাধ্যমেই এই সরকারকে পতন ঘটাতে চাই।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সাজানো নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসতে চান, এ স্বপ্ন বাদ দেন। আগামী দিনের সরকার হবে গণতন্ত্রের স্বপক্ষের সরকার। সেটা বিএনপি সরকার। নির্বাচন পরবর্তী জাতীয় সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে দুদু বলেন, আগামী নির্বাচন অবশ্যই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হবে। এইবার আপনি পার পাবেন না। পার পাওয়ার কোনো পথ নেই। আপনারা (আওয়ামী লীগ) যেই জারিজুরি করেন না কেন, আপনাদের পদত্যাগ করতে হবে; পার্লামেন্ট ভাঙতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।

বিএনপির গণতন্ত্রের ইলেকশনের বাইরে কোনো পথ আছে কিনা? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা যে সংবিধানকে ধ্বংস করেছেন এটা এক মিনিটের মধ্যে ঠিক করা যায়। বিএনপির দিকে বন্দুক ঘোরাবেন না। নিজের দিকে ঘোরান, তাহলে বুঝতে পারবেন কীভাবে সংবিধান ধ্বংস করেছেন।

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে, আওয়ামী লীগ বিদেশে যে টাকা পাচার করেছে সে টাকা ফেরত আনতে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে বিএনপি ২৭ দফা দিয়েছে। সে জন্যই আগামী নির্বাচন অবশ্যই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক ছিলেন খায়রুল কবির খোকন। বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এরকম একজন ব্যক্তিকে আক্রমণ করা মানে দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ করা। মুক্তিযোদ্ধা আবু ছালেককে কোমরে দড়ি বেঁধে ও হাতে হ্যান্ডকাফ পরি‌য়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এতে ছালেকের কোমরে দাড়ি বাধা হয়নি, গণতন্ত্রের কোমরে দাড়ি বাধা হয়েছে; দেশের স্বাধীনতার মাজায় দড়ি বেধেছে। এদের বিচার হওয়া উচিত।

তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের অনুসারীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলেও মানববন্ধনে মন্তব্য করেন দুদু।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাক্তার মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।