ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রামগতিতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

  ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩
রামগতিতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে একই দলের পদবঞ্চিত নেতা ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার রামগতি বাজারের পাশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

আহতরা হলেন- চরগাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, যুবদল নেতা মো. ইসমাইল, নুরুল আমিন নোমান, মাহবুবুর রহমান নয়ন, মো. হৃদয় হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মো. ফরহাদ, কলেজ ছাত্রদল নেতা মো. আরিফ হোসেনসহ ১০ জন।  

এদের মধ্যে সাইফুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তাকে নোয়াখালীর একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্নভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।  

আহতরা লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা আশরাফ উদ্দিন নিজানের সমর্থক। হামলার অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক চরগাজী ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন বাচ্চু।  

স্থানীয় লোকজন জানায়, ভোর বেলায় রামগতির চরগাজী ইউনিয়নের বানী ভবানী রায় কামেশ্বরী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে থাকা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যায় সাবেক এমপি নিজান উদ্দিনের সমর্থক ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা ফুল দিয়ে সমবেত হয়ে বাড়ি ফেরার পথে বাজারের পাশে মীর বাড়ির সামনে গেলে উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা মীর আক্তার হোসেন বাচ্চুর লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে নিজাম গ্রুপের অন্তত সাতজন ও বাচ্চু গ্রুপের তিনজন আহত হয়।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেল বছরের অক্টোবর মাসে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর আক্তর হোসেন বাচ্চু। তবে তিনি পদে আসতে পারেননি। কিন্তু সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিন নিজানের সমর্থিতরা পদ পাওয়ায় আক্তার হোসেন বাচ্চু ক্ষুব্ধ হন। ওই কমিটি ঘোষণার পরে সে সময় বাচ্চুর সমর্থকরা বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তখন থেকে দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়।  

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ভোরে বিএনপির ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ নেতাকর্মী দলবদ্ধভাবে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফুল নিয়ে শহীদ বেদিতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন বাচ্চুর লোকজন আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের সাতজন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর। তার বাম হাত ভেঙে গেছে। তাকে নোয়াখালীর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

তিনি বলেন, আক্তার হোসেন বাচ্চু উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন। কিন্তু পর পর দুইবার তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আঁতাত করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট করেন। এ কারণে নতুন কমিটিতে তাকে রাখা হয়নি। তাই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেন।  

এ বিষয়ে জানতে আক্তার হোসেন বাচ্চুর মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।  

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, হামলার বিষয়টি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।