ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

বাগেরহাটে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা, কেন্দ্রীয় নেতাসহ আটক ২৫

  ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
বাগেরহাটে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা, কেন্দ্রীয় নেতাসহ আটক ২৫

বাগেরহাট: কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাগেরহাটে পদযাত্রা করেছে জেলা বিএনপি। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা শহরের পুরাতন বাজার মোড় এলাকায় পদযাত্রা শুরু করে।

 

পদযাত্রা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিশি বাধায় কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালামের মুনিগঞ্জস্থ বাড়িতে অবস্থান নেয় নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালামসহ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।  

এছাড়া পুরাতন বাজার এলাকা থেকে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক প্র্রকৌশলী এটিএম আকরাম হোসেন তালিমকে আটক করে থানা পুলিশ। বিএনপির দাবি এই কর্মসূচি বানচাল করতে অন্তত ৪০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

আটকদের মধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক প্র্রকৌশলী এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজরা আছাদুল ইসলাম পান্না, বিএনপি নেতা শেখ শাহেদ আলী রবি, যুবদল নেতা আইয়ুব আলী মোল্লা বাবু, জয়নুল পারভেজ সুমন ও নাছিমের নাম পাওয়া গেছে।

এদিকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধার প্রতিবাদ ও আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বেলা ১১টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়দুল ইসলাম।  

এসময় বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, সদস্য কামরুল ইসলাম গোড়া, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, অহিদুল ইসলাম পল্টুসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কেন্দ্রীয় বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদযাত্রা বানচাল করতে পুলিশ গতরাত থেকেই আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সকালে আমাদের শঅন্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়। আমাদের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দসহ ৪০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার শামিল। অতিদ্রুত এসব নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। এছাড়া সারা দেশে নেতাকর্মীদের আটক ও দমন পীড়নের প্রতিবাদে ৪ মার্চ সব মহানগরের প্রতিটি থানায় পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় এই নেতা।

ড. ওবায়দুল ইসলাম আরও বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের অন্যায়, অবিচার ‍ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারছে না। দেশের কোথাও আন্দোলন করা যাচ্ছে না। কেউ প্রতিবাদ করলে হামলা, মামলা ও গুমের স্বীকার হতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের দুঃশাসন, কুশাসন ও টাকা পাচারের জন্য দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা রোধ করছে। এসব দুঃশাসন, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মানুষকে বাঁচাতে হলে এই সরকারের বিরুদ্ধে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান এই নেতা।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আছাদুজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের পক্ষ থেকে বাগেরহাটে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের কর্মসূচি পালন না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। এজন্য আমরা বিএনপির কয়েকজনকে আটক করেছি। আটকের সংখ্যা ২০ থেকে ২৫ জনের মত হবে। আমরা যাচাই বাছাই করছি, পরে জানানো হবে।
 
 বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।