ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘আ.লীগ নয়, একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কারণে দেশ স্বাধীন হয়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৩
‘আ.লীগ নয়, একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কারণে দেশ স্বাধীন হয়েছে’

ঢাকা: আওয়ামী লীগ নয়, একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘৭ই মার্চ: মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাব এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণে আমাদের মস্তিষ্কে যে আলোড়ন হয়েছিল, তাতে সাধারণ মানুষের মস্তিষ্ক বদলে গিয়েছিল। এই ঐতিহাসিক ভাষণের আগে আমরা বাঙালিরা দ্বিধায় ছিলাম যে আমাদের ভবিষ্যৎ কী হবে। ভাষণের পর আমরা বুঝতে পেরেছিলাম আগামী দিনগুলো আমাদের কীভাবে চলতে হবে।

তিনি বলেন, ৭ মার্চ ঐতিহাসিক দিন হিসেবে এটির বিরোধিতা আমি করি। কারণ মানুষের জীবনে প্রতিটি দিবসই হচ্ছে ঐতিহাসিক দিন। প্রতিটি দিন, মাস এবং প্রতিটি ক্ষণেই ইতিহাস থাকে। তবে আলাদা করে কিছু ঐতিহাসিক তাৎপর্য এই ৭ মার্চের ভাষণে ছিল।

পাকিস্তানের গরম মাথার কাছে বঙ্গবন্ধুর ঠাণ্ডা মাথা জয়ী হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, পাকিস্তানে সেনা শাসনের কারণে দেশটিতে শাসন এবং নেতৃত্ব কোনটিই গড়ে উঠেনি। আজও পাকিস্তান ব্যর্থ রাষ্ট্র রয়ে গেছে। সেদিন পাকিস্তানের গরম মাথার কাছে বঙ্গবন্ধু ঠাণ্ডা মাথায় লড়াই করেছিলেন। সে লড়াই ছিল কথার লড়াই, বুদ্ধির লড়াই।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যখন যা বলার ছিল বঙ্গবন্ধু তা বলেছেন উল্লেখ করে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, একারণেই আজকে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ৭ মার্চ কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে অনেকে বলেছিল আপনার বক্তব্যে স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন না হলে মানুষ বক্তব্য শুনবে না। তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিল, তোরা আমারে জোরাজোরি করবি না। কখন কী বলতে হয় আমি জানি। আমি চাই না আমার জনগণের ওপর ইয়াহিয়া এবং ভুট্টরা অত্যাচার করুক।  

বঙ্গবন্ধু ইনশাআল্লাহ বলেছেন বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে উল্লেখ করে সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ইয়াহিয়া ইনশাআল্লাহ বলেছেন দেখে পাকিস্তান ভেঙে গেছে। কারণ নেক বান্দার মুখে ইনশাআল্লাহ কার্যকর হয়। ইয়াহিয়া সব কথায় ইনশাআল্লাহ বলতেন, কিন্তু তার কথায় কাজ হত না। কারণ তিনি প্রতিদিন কয়েক বোতল ‘ব্লাক ডগ হুইস্কি’ খেতেন। আর বঙ্গবন্ধু প্রতিদিন সকালে এক দুই আয়াত কোরাআন শরিফ পড়তেন। তাই বঙ্গবন্ধুর ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের জন্য কাজ করেছে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। সঞ্চালনা করেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জুলহাস আলম।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে একাংশের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি কবি হাসান হাফিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবে যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৩
ইএসএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।