ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

বিদ্যুৎ এখন আমদানি নির্ভর হয়ে গেছে: সাকি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৩
বিদ্যুৎ এখন আমদানি নির্ভর হয়ে গেছে: সাকি গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি

রংপুর: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, জ্বালানি দিক থেকে বিদ্যুৎ আমদানি নির্ভর, উৎপাদিত বিদ্যুৎও আমদানি নির্ভর। সরকারের বিদ্যুৎ নীতি যেভাবে চলছে, তাতে এই বিদ্যুৎ এখন আমদানি নির্ভর হয়ে গেছে।

সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে উন্নয়নের কথা বলছেন।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতির দুই দিনব্যাপী ১ম কেন্দ্রীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রংপুর সরকারি সিটি কলেজ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই আমদানি নির্ভরতা এবং কতিপয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সংকটের সমাধানের নামে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল ব্যবস্থা তৈরি করেছিল সরকার। যেটা ২০১৪ সালে সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা সমাপ্ত না করে এখনও পর্যন্ত লাইসেন্স ক্রমাগতভাবে বাড়িয়ে তুলে উৎপাদনে না রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে।

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, আমরা এমন একটা সরকারের অধীনে আছি। যে সরকার পরপর তিন দফায় ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। তারা ২০১৪ সালের পর থেকে জনগণের ভোটকে তোয়াক্কা করে না। ভোট ছাড়া তারা জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জনগণের অধিকারকে খর্ব করছে। এই ক্ষমতাকে তারা বৈধ করে একটা বড় স্লোগান দিয়ে, তা হলো। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, অন্যদিকে উন্নয়নের কথা বলে। আমরা আজকে এই সরকারের ১৪ বছরের শাসনকে পরিষ্কার করে বলতে চাই। যে উন্নয়নের কথা বলে এই উন্নয়ন কার উন্নয়ন?

কৃষি ভর্তুকি নিয়ে তিনি আরও বলেন, সরকার কৃষিতে ভর্তুকি দিচ্ছে। কিন্তু সেই ভর্তুকি কোনো কাজে আসছে না কৃষকের। যারা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত তাদের হাতে কিছু নেই। কৃষকেরা উৎপাদন পণ্যের ভালো দাম পাচ্ছে না। ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রয়কেন্দ্র খোলা হলে, সরকার নির্ধারিত মূল্যে ফসল বিক্রি করতে পারলে কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়তো না। লুটেরাদারদের হাতে ক্ষমতা, যারা শুধু লুটপাটে ব্যস্ত। ফলে কৃষকরা উৎপাদনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে, নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। জনগণের টাকায় চলা সরকার কৃষকের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, এক শ্রেণির লোপাটকারীদের লুটপাটের ব্যবস্থা করে দিয়েছে সরকার। তারা সরকারের মদদে দেশের বাইরে টাকা পাচার করছেন। লোপাটকারীরাও নানা ফন্দি আঁটে সরকারকে টিকিয়ে রাখছে।  

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু।  

আরও বক্তব্য রাখেন ভাসানী গবেষক ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা সৌমিত্র দস্তিদার, কৃষক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন ও কিষাণী সংগঠক মাহমুদা খানম।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।