ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কৃষক মজুরের অধিকার আদায়ে ১৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
কৃষক মজুরের অধিকার আদায়ে ১৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা

ঢাকা: বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতির দুই দিনব্যাপী প্রথম কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে প্রবীণ কৃষক নেতা দেওয়ান আবদুর রশিদ নিলু সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল আলিম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

রংপুরের সেন্ট্রাল রোডের ঈদগাহ মাঠে গত ১৮ মার্চ উদ্বোধনী সমাবেশ শেষে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ১৯ মার্চ সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত কৃষক প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কাউন্সিল অধিবেশনে কৃষি ও কৃষক আন্দোলনের বিশ্লেষণ, দলীয় প্রস্তাবণা, ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র এবং প্রস্তাবিত ১৭ দফা কর্মসূটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

প্রয়োজনীয় সংযোজন ও বিয়োজন আলোচনা শেষে আগামী দুই মাসের মধ্যে এসব চূড়ান্ত করার বিষয়ে নবগঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

কাউন্সিল অধিবেশনের শেষ পর্বে আগামী দুই বছরের জন্য ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হয়। সভায় প্রবীণ কৃষক নেতা দেওয়ান আবদুর রশিদ নিলু সংগঠনের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম আমজাদ হোসেন, বগুড়ার প্রবীণ কৃষক সংগঠক আব্দুর রশিদ ও প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক কুড়িগ্রামের প্রবীণ কৃষক সংগঠক আজহার উদ্দিন সরকার।



সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল আলিম। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-১ হিসেবে নির্বাচিত হন রংপুরের সাবেক ছাত্রনেতা তৌহিদুর রহমান। সাংগঠনিক সম্পাদক-১ হিসেবে নির্বাচিত হন প্রবীণ রাজনৈতিক সংগঠক শামসুল আলম। অর্থ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন পাবনা (বেড়া) কৃষক সংগঠক কামরুল হাসান লিটন। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন সাবেক ছাত্রনেতা ও তরুণ প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা জাফর মুহাম্মদ। রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন ঝিনাইদহের অভিজ্ঞ কৃষক সংগঠক নজরুল ইসলাম। তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা প্রত্যয়ী মিজান। দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন নীলফামারী অঞ্চলের কৃষক সংগঠক শাহাবুল ইসলাম। সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন কুমিল্লার কৃষি উদ্যোক্তা হাবিবুর রহমান লিটন।

কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, উত্তরবঙ্গের প্রখ্যাত গণসংগীত শিল্পী আব্দুল আওয়াল, নুরুদ্দিন (নাচোল), সাইফুর রহমান দুলাল (নাগেশ্বরী), আবদুস সামাদ (ধুনট), তাহমিদা তানিয়া (নাটোর), রুবিনা ইসলাম (বরিশাল), আবদুল আলিম মোল্লা (নাগরপুর), আশরাফুর রহমান (সিঙ্গাইর), সিনইয়া ম্রো (বান্দরবান), গোবিন্দ বর্মণ (মধুপুর), মো. আজিমুল (জলঢাকা), আবদুল ওহাব আকাশ (রংপুর), সেলিম মৃধা (গলাচিপা), জালাল উদ্দিন (ময়মনসিংহ), মোসাম্মত বেগম (নীলফামারী), জাহিমা বেগম (নীলফামারী), নেয়ামত ভুঁইয়া (কটিয়াদী), দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (দিনাজপুর), মানিক মিয়া (রানীশংকৈল)।

সম্মেলনে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা হলেন—প্রবীণ কৃষকনেতা নাজার আহমেদ, কেরামত আলী, ফিরোজ আহসান  ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি।

নতুন কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি কৃষক শ্রমিকদের পিছিয়ে রেখে বাংলাদেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। কৃষকের ফসলের নায্যমূল্য, সহজ শর্তে কৃষি ঋণ, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ব রোধসহ কৃষক মজুর সংহতি প্রস্তাবিত ১৭ দফার পূর্ণবাস্তবায়নের মাধ্যমেই কৃষক মজুরদের স্বার্থরক্ষা সম্ভব। কৃষক মজুর সংহতি কৃষকদের স্বার্থের রাজনৈতিক প্রতিনিধি হয়ে উঠবে সেই প্রত্যাশা করি। দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতির প্রথম সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।