ঢাকা: গত ৬ জানুয়ারি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে মঞ্চ ভেঙ্গে পড়ে। এতে সেসময় গুরুতর আহত হন যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলিসহ বেশ কয়েকজন।
মঞ্চ ভেঙে পড়ে যান বক্তব্যরত আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও। পরে তাৎক্ষণিকভাবে নিজেকে সামলে নিয়ে আবারও বক্তৃতা দেওয়া শুরু করেন।
সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে না আলোচনা।
আ.লীগের এ জ্যেষ্ঠ নেতা আহত হয়েছিলেন কিনা, তা কতটা গুরতর ছিল - এ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়।
এতোদিন বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকলেও এবার ওবায়দুল কাদের জানালেন, সেদিনের দুর্ঘটনায় তিনিও আহত হয়েছিলেন। রক্তাক্ত অবস্থায় সে সময় তিনি বক্তৃতা পুনরায় শুরু করেন তিনি। পরে সুস্থ হতে পাঁচবার ড্রেসিং করতে হয়েছিল তার।
বুধবার(২২ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্রলীগের আজকের আয়োজনে অনেক শিক্ষার্থী এসেছে। সবাই দাঁড়াতেও পারছে না। আয়োজনটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গলে হলে ভালো হতো। কিন্তু সবাই ভয় পেয়েছে একদিন স্টেজ ভেঙেছে, এখন আবার যদি ভাঙে! এজন্য ভয় পায়, ভয় পাওয়ার দরকার নেই।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, 'স্টেজ ভেঙে গেছে, দুই পা রক্তাক্ত। আমি কিন্তু তখনও দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করে গেছি। আমি কাউকে বুঝতেই দিইনি, আমার কোনো ক্ষতি হয়ে গেছে। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি হয়ে গেছে। পাঁচবার ড্রেসিং করতে হয়েছে হাসপাতালে। আমি তো সে কথা বলিনি।
তিনি বলেন, তাই বলে কি স্টেজ হবে না? হবে তবে সবাই কেন স্টেজে? যারা স্টেজে ওঠার তারা উঠবে। কখন কোনো ওয়ার্ড শাখার নেতা স্টেজে উঠেছে, একজনকে জিজ্ঞেস করলাম সে কে? সাবেক নেতা। কোথাকার নেতা, রামপুরা ওয়ার্ড সেক্রেটারি।
এসব ঘটনা হাস্যকর বলে অভিহিত করেন ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠারে আরও বক্তব্য রাখেন আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জানুয়ারি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এ সময় মঞ্চে ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের অনেকেই। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এরপর বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
সাদ্দামের পর বক্তব্য নিয়ে আসেন ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য চলার মধ্যেই ৪টা ১০ মিনিটে ভেঙে পড়ে মঞ্চ।
মঞ্চে ধারণক্ষমতার বেশি লোক ওঠায় মঞ্চ ভেঙে পড়েছে বলে এসময় ভিডিওতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়ঃ ২১০০, মার্চ ২২, ২০২৩
এনবি/এসএএইচ