ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

‘চূড়ান্ত আন্দোলনেই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৩
‘চূড়ান্ত আন্দোলনেই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হবে’

ঢাকা: নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি না মানলে ও সকল রাজবন্দির মুক্তি না দিলে এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

শনিবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর পুরানা পল্টনে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচিতে তারা এ কথা বলেন।

‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি দাবিতে’ এই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে নেতারা বলেন, আমার জনগণের কল্যাণের জন্য আন্দোলন করছি। আজকে নব্য স্বৈরাচার সরকারের কবল থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে রোজার মাসেও রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। কারণ এই সরকারের আমলে সাধারণ মানুষ ঠিকমতো রোজা রাখতে পারছে না।

‘প্রত্যেকটি জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। মানুষ ভালোমন্দ খেতে পারছে না। মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। অতএব এই সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তারা আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু সেই সু্যোগ দেশের মানুষ আর দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। ’

সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, রোজার মাসে আমাদের রাজপথে নামতে বাধ্য করেছে। এই সরকার মানুষের বাকস্বাধীনতা ও বেঁচে থাকার অধিকার ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসন করছে। আমরা জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যেই রাজপথে নেমেছি। জনগণের গণঅভ্যুত্থানে সরকার পদত্যাগ করতে ও নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হবে।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যতবার ক্ষমতায় এসেছে তখনই অঘটন ঘটিয়েছে। ১৯৯৬ সালে তারা সচিবালয়ে আমলাদের উস্কানি দিয়ে বিদ্রোহ ঘটিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছে। কোনো সুষ্ঠু বিচার করতে পারেনি। ২০১০-২০১১ সালে সাধারণ মানুষের টাকা শেয়ার বাজার থেকে লুটে নিয়েছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদ্দিন টিটুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ক্বারি আবু তাহের, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল গণি, মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা মহিউদ্দীন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) অ্যাডভোকেট জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ ভাসানী) অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা শওকত আমিন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) খান আসাদুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৩
টিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।