ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি দেশের অর্জন ধূলিসাৎ করার ষড়যন্ত্র করছে: কামরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২৩
বিএনপি দেশের অর্জন ধূলিসাৎ করার ষড়যন্ত্র করছে: কামরুল

ঢাকা: বিএনপি দেশের অর্জনগুলো ধূলিসাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

শনিবার (৬ মে) স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত (মরণোত্তর) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারে ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ।

কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি দেশের অর্জনগুলোকে ধূলিসাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তারা বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা, কোনো কিছুই মানে না। সাধারণ মানুষের ওপর তাদের আস্থা নেই, তাদের আস্থা বিদেশিদের ওপর। তারা বিদেশিদের কাছে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করছে।

তিনি বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসতে চায়। অথচ আমরা দেখেছি তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কীভাবে দুই বছর ক্ষমতায় ছিল, কীভাবে তারা অনাচার চালিয়েছে।

কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অজুহাতে ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে। বিদেশি পরিদর্শক দেশে এসে তা দেখেছেন এবং প্রশংসাও করেছেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে সবচেয়ে বেশি স্মরণ হয় বর্তমান শ্রমিক লীগের দুর্দশার কথা। কারণ আহসান উল্লাহ মাস্টার যখন শ্রমিক লীগের নেতা ছিলেন, সে সময় ছিল শ্রমিক লীগের সবচেয়ে উজ্জ্বলতম সময়। আমার এদিনে প্রত্যাশা থাকবে, শ্রমিক লীগ আবার যেন স্বমহিমায় ফিরে আসে।  

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি ঢাকার পিপিই ছিলাম। তখনকার সময় বিএনপি-জামায়াত যে পরিমাণ মামলা করতো, এর বেশিরভাগ আমরা দেখভাল করতাম। সে সময় একটা সাধারণ কর্মীর জন্যও আহসান উল্লাহ মাস্টার আমাদের কাছে ছুটে আসতেন। ২০০৪ সালে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়। আমরা যখন তার প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমেছিলাম, তখন আমাদের ওপরও বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচার নেমে আসে। তারপরও আমরা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার সঠিক বিচার পাইনি। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। ১১ জনকে দেওয়া হয়েছে বেকসুর খালাস। আসামিপক্ষ সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। আশা করছি দ্রুতই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৩
এসসি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।