ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নাটোরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
নাটোরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ 

নাটোর: নাটোরে বিএনপির সমাবেশে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে তড়িঘড়ি করে প্রধান অতিথির বক্তব্য ছাড়াই সমাবেশ শেষ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

স্থানীয়রা জানান, সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের আলাইপুর দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু করে নাটোর জেলা বিএনপি।  

তবে তাদের সমাবেশ শুরুর আগেই কার্যালয়ের সামনে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ ২টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে।  

পরে পুলিশ বেষ্টনীতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশ শুরু করেন। সমাবেশ একটি কাঠের চৌকির অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য কাজী গোলাম মোর্শেদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল চৌধুরী, যুবদল নেতা এ হাই তালুকদার প্রমুখ।

সমাবেশ শুরুর পর থেকেই বাঁশ হাতে সেখানে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সমাবেশের একপর্যায়ে প্রধান অতিথি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বক্তব্যের জন্য মঞ্চে আসা মাত্রই উত্তেজনা সেখানে দেখা দেয়।  

এঅবস্থায় নিরাপত্তার অভাবে তড়িঘড়ি করে প্রধান অতিথি বিএনপির বক্তব্যের আগেই সমাবেশ শেষ করেন বিএনপি নেতারা।

একই সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে পিডিবি অফিসের সামনে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। বাধা পেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পিডিবি অফিসের সামনে অবস্থান নেন। আধাঘণ্টা পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখান থেকে চলে যায়।

পরে বেলা ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের আলাইপুর এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশ করেন দলের নেতাকর্মীরা।

অপরদিকে একই সময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল সমর্থকরাও বিক্ষোভ মিছিল শেষে কানাইখালি জনতা ব্যাংকের সামনে শান্তি সমাবেশ করেন। সেখানে দলের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। জেলা যুবলীগের সভাপতি বাশিরুর রহমান এহিয়া চৌধুরী এতে নেতৃত্ব দেন।

নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতেই ছাত্রলীগ কর্মীরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে সমাবেশস্থলে আসে এবং তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ফলে সমাবেশ করলেও নিরাপত্তার অভাবে আমরা প্রধান অতিথিকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে পারিনি।

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ছাত্রলীগের কেউ সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়নি। বরং বিএনপি নেতাকর্মীরা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে সেখানে ককটেল জমা রেখেছিল এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দায়ভার ছাত্রলীগের ওপর চাপাচ্ছে।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন,পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে কোনো ধরনের সংঘর্ষ ঘটেনি। দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে, তা নিষ্ক্রিয় করা হবে। এছাড়া দুটি দল একই স্থানে সমাবেশের ডাক দেওয়ায় পুলিশের বাড়তি প্রস্তুতি ছিল। তাই শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে উভয়ের সমাবেশ শেষ হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।